কলকাতা: রাজ্য সরকারের চাপের মুখেই নাকি পদত্যাগ করেছেন পাঁচ উপাচার্য! রাজ্যপালের কাছে সেই ভয় পাওয়ার কথা নিজে মুখে জানিয়েছেন তাঁরা! সি ভি আনন্দ বোস এমন অভিযোগ সামনে আনার পরই তড়িঘড়ি পাঁচজন উপাচার্যকেই চিঠি দিল শিক্ষা দফতর। সত্য়িই ভয়ে পদত্যাগ করেছেন? কার ভয়ে পদত্যাগ করেছেন? তথ্য ও প্রমাণ সহ এই উত্তর চাওয়া হয়েছে ওই পাঁচ উপাচার্যের কাছে। শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে উত্তর না দিতে পারলে ধরে নেওয়া হবে, রাজ্যপাল শিক্ষা দফতরকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবারই রাজ্যপাল সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, কোনও কোনও উপাচার্য শিক্ষা দফতরের ভয়ে পদত্যাগ করেছেন। দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ভয় দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই বক্তব্যে রাজভবন-শিক্ষা দফতর সংঘাত নতুন মোড় নেয়। অভিযোগ শুনেই নড়েচড়ে বসে শিক্ষা দফতর। রাজ্যপাল তথা আচার্য যে ৫ উপাচার্যের নাম নিয়েছেন, তাঁদের বৃহস্পতিবারই ই-মেল মারফত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
যে সব উপাচার্যদের পদত্যাগের কথা রাজ্যপাল উল্লেখ করেছেন তাঁরা হলেন, মউলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায় ও গৌতম মজুমদার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চন্দন বসু ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অমিতাভ দত্ত। এই পাঁচজনের কাছেই পৌঁছেছে চিঠি। ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামী সোমবারের মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে।
চিঠিতে শিক্ষা দফতর রাজ্যপালের বক্তব্যের ভিডিয়োর কথা উল্লেখ করেছে। উপাচার্যদের বলা হয়েছে, “শিক্ষা দফতর বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এমন কোনও হুমকি দেওয়া হয়ে থাকলে, তার স্বপক্ষে প্রমাণ দিন। আপনাদের দেওয়া তথ্য গোপন রাখা হবে। তথ্য় না পাওয়া গেলে ধরে নেওয়া হবে আচার্যের করা এই অভিযোগ মিথ্যা।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, শিক্ষা দফতরকে বাঁচাতে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসবেন তিনি। বৃহস্পতিবার তার প্রত্যুত্তরে রাজ্যপাল বলেছেন, “প্রয়োজনে রাজভবনের ভিতরে এসেও ধরনা দিতে পারেন।”