Education Department: রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই উচ্চ শিক্ষা দফতরের ফোন গেল রেজিস্ট্রারদের কাছে

সুমন মহাপাত্র | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 01, 2023 | 5:58 PM

Education Department: সারা সপ্তাহে কী কাজ হচ্ছে, সে সম্পর্কে একটি রিপোর্ট আগেই চাওয়া হয়েছিল রাজ্যপালের তরফে।

Education Department: রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই উচ্চ শিক্ষা দফতরের ফোন গেল রেজিস্ট্রারদের কাছে
সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপর কার নিয়ন্ত্রণ থাকবে, এটাই বোধহয় আপাতত রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মূল কারণ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কী অবস্থা, কী কী সমস্যা রয়েছে, এসব খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে রিপোর্ট তলব করে চিঠিও দিয়েছিলেন। আর এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের কাছে ফোন গেল শিক্ষা দফতর থেকে। সরাসরি উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে ফোন করে জানতে চাওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম সম্পর্কে। একদিকে যখন উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপাল একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে এই ফোন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

বুধবার রাজভবনে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একটি বৈঠক হয়, যেখানে শিক্ষা দফতরের কোনও প্রতিনিধিকে ডাকা হয়নি বলেই সূত্রের খবর। আর বৃহস্পতিবারই রেজিস্ট্রারদের ফোন করা হয়েছে দফতর থেকে।

সারা সপ্তাহে কী কাজ হচ্ছে, সে সম্পর্কে একটি রিপোর্ট আগেই চাওয়া হয়েছিল রাজ্যপালের তরফে। রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে আচার্য হিসেবে সেই রিপোর্ট তলব করেছিলেন তিনি। সেই রিপোর্টের জবাব না পেয়ে বেশ কয়েকজন উপাচার্যকে শোকজও করা হয়েছিল রাজভবনের তরফে।

শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে এভাবে উপাচার্যদের কাছে সাপ্তাহিক রিপোর্ট চাওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল শিক্ষামন্ত্রীর। দফতরকে না জানিয়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এটা আইনি না বেআইনি, এটা করা যায় কি না, সে ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নেব। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছি।’ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

Next Article