
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য। জুনিয়র ডাক্তাররা রাস্তায়। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষও। এই আবহে রাজ্যের ৬টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে কমিশন। তারই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে ৬টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ১৩ নভেম্বর ওই ৬টি আসনে উপনির্বাচন হবে।
যে ৬টি আসনে উপনির্বাচন হবে, সেই আসনগুলি হল তালডাংরা, সিতাই, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর ও মাদারিহাট। এই ৬টি আসনের বিধায়করা চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। তার জেরেই এই আসনগুলিতে উপনির্বাচন হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের এই ৬টি আসন ছাড়াও দেশের আরও ১৪টি রাজ্যে ৪২টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে।
একুশের নির্বাচনে কোন দলের দখলে ছিল কোন আসন?
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর থেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের জুন মালিয়া। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাংসদ হন তিনি। তারপর বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন জুন মালিয়া। একুশের নির্বাচনে মাদারিহাটে জিতেছিলেন বিজেপির মনোজ টিগ্গা। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর বিধায়ক পদ ছাড়েন তিনি। একুশের নির্বাচনে হাড়োয়া থেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের হাজি নুরুল ইসলাম। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হন তিনি। তবে কিছুদিন আগে প্রয়াত হয়েছেন তৃণমূল এই সাংসদ। একুশের নির্বাচনে নৈহাটিতে জিতেছিলেন তৃণমূলের পার্থ ভৌমিক। তিনিও সাংসদ হওয়ার পর বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। একুশের নির্বাচনে সিতাইয়ে জিতেছিলেন তৃণমূলের জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। সাংসদ হওয়ার পর বিধায়ক পদ ছাড়েন তিনি। আর একুশের নির্বাচনে তালডাংরায় জিতেছিলেন তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী। চব্বিশের নির্বাচনে জিতে সাংসদ হন তিনি। ছাড়েন বিধায়ক পদ।
সবমিলিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি আসন জিতেছিল তৃণমূল। আর একটি আসনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, আরজি কর কাণ্ডের আবহে সব দল তাদের শক্তি পরখ করতে চাইবে এই উপনির্বাচনে। উপনির্বাচনে কারা বাজিমাত করবে, তা জানা যাবে ২৩ নভেম্বর।