
চুঁচুড়া: আজ, সোমবার এসআইআর-এর শুনানির তৃতীয় দিন। এদিন সকাল থেকেই বিএলএ-২ দের প্রবেশাধিকার দেওয়ার দাবিতে সরব হন বিধায়ক অসিত মজুমদার। শুধু তাই নয়, শুনানি বন্ধও করে দেন তিনি। এরপরই বড় নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়ে দিল, শুনানিতে ঢুকতে পারবেন না বিএলএ ২-রা। রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিএলএ-দের সঙ্গে বৈঠকে, তাঁদের হিয়ারিংয়ে থাকার নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটার কথাও বলেন তিনি। এরপরই তৎপর হতে দেখা যায় অসিত মজুমদারকে।
এদিন অসিত মজুমদার দাবি করেন, কোনও লিখিত নির্দেশ না আসা পর্যন্ত হিয়ারিং করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “লিখিত দিন। আমি চলে যাব।” বিডিও-র সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বিধায়কের। আর তারপরই তিনি শুনানি বন্ধ করে দেন। ফিরে এসে নিজের অফিস থেকে সরাসরি ফোন করেন এসডিও-কে। শুনানি বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন। বিধায়কের দাবি, সাধারণ মানুষের নাম বাদ চলে গেলে সাহায্য করবেন বিএলএ-রা।
সকাল থেকেই এই বচসা চলার পর কড় নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী যেহেতু বিএলএ-২ রা বসতে পারেন না, তাই তাদের বাইরে রেখেই কাজ করতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হল কমিশনের তরফে। প্রয়োজন হলে শুনানি কেন্দ্রের বাইরে ক্যাম্প করে বসতে পারবেন বিএলএ-২ রা। হুগলির জেলা শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে অবিলম্বে শুনানি শুরু করা হয়।
তবে তৃণমূল তাদের যুক্তিতে অনড়। শাসক দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলছেন, পুরনো সব নিয়ম ভেঙে ফেলে কমিশন এই নিয়মগুলো তৈরি করছে কমিশন। তাঁর বক্তব্য, কোনও সমস্যা হলে অবজেকশন দেবে বিএলএ-২ রা। এভাবে তাঁদের অধিকার হরণ করা যাবে না বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “নিয়ম পরিবর্তন করলে নোটিফিকেশন করতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপে নির্দেশ পাঠালে হবে না।”