কলকাতা: পুজোর পরই ফের ভোটের (By- Election) বাদ্যি রাজ্যে। আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের বাকি চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ ও গোসাবায় উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হল। ২ নভেম্বর ভোটের গণনা হবে। অর্থাৎ ভবানীপুর উপনির্বাচনের ঠিক এক মাস পর ভোটের দিন ঘোষণা হল। শুধু বাংলাই নয়, বাংলার বাইরেরও যে সমস্ত রাজ্যে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে, সেগুলিও এই ৩০ অক্টোবরই হবে। একই সঙ্গে তিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তিন কেন্দ্রেও এদিনই ভোট হবে।
পশ্চিমবঙ্গের চার বিধানসভা কেন্দ্র গোসাবা, দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহে ভোট হবে ৩০ অক্টোবর। একইসঙ্গে তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, অসম, অন্ধ্র প্রদেশেরও একাধিক কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলি, মধ্য প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশের তিন লোকসভা কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ হবে এদিন।
ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের বক্তব্য, “নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করলে আমরা সব সময়ই ভোটের জন্য তৈরি। গণতন্ত্রে ভোটটা তো কাম্য। কিন্তু পুজোর মরসুম তো সে একটা বিষয়। তবে কমিশন চাইলে করতে হবে। আর আমরা নির্বাচনের জন্য যে কোনও দিন, যে কোনও সময়ই প্রস্তুত। আসলে দুর্গাপুজোর পর কালীপুজো, দীপাবলী সবই তো রয়েছে। তবে এটাও তো ঠিক আসনগুলো শূন্য। সেগুলিতেও তো জনপ্রতিনিধি দরকার।”
অন্যদিকে এই ভোটের দিন ঘোষণা নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “নির্বাচন কমিশন যখন ঘোষণা করেছে, আমরা তো নিশ্চয়ই সেখানে লড়ব। কিন্তু ৩০ সেপ্টেম্বরের এই ঝামেলাটা যদি ৩০ অক্টোবরই করত, তা হলে কী সমস্যা হতো? নির্বাচন কমিশন যে শুধুমাত্র একজনকে জেতানোর জন্য সার্কুলারটা জারি করেছিল, এটা নির্বাচন কমিশনের মান, মর্যাদা, দীর্ঘদিনের নিরপেক্ষতাকে নষ্ট করে দিয়েছে। যে নির্বাচন কমিশন দাগহীন ছিল, ভবানীপুরের ভোট ঘিরে একটা দাগ লেগে গেল, তা শত ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুলেও যাবে না।”
প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টে ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে রায়দান পর্ব রয়েছে। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, কেন একটি মাত্র কেন্দ্রে উপনির্বাচন করা হচ্ছে। এই ঘোষণা কি কেবলমাত্র মুখ্যসচিবের অনুরোধেই?
মামলাকারীর আরও অভিযোগ, কেবল মাত্র ভবানীপুর আসনে ভোটের জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ব্যবহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী আসলে মুখ্যসচিবকে ব্যবহার করেছেন ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন চেয়ে। মুখ্যসচিব শুধু একটি কেন্দ্রের জন্য চিঠি লেখেন কমিশনকে।” কেন রাজ্যের মুখ্যসচিব একটি কেন্দ্রের জন্য ভোট চাইছেন? প্রশ্ন তুলেছেন ওই মুখ্যসচিবের চিঠি বাতিলের আর্জি জানিয়ে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার তার রায় দেবে আদালত। তার আগেই বাকি চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনের বিজ্ঞপ্তি নিঃসন্দেহে এই মামলাকে নয়া মোড় দিতে পারে।
আরও পড়ুন: Central Force: ভবানীপুরের ভোটে কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী, কলকাতা পুলিশ সূত্রে উঠে এল সেই বিন্যাস