
কলকাতা: রাজ্য়ে এখনও এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার কাজ শুরু হয়নি। তার আগেই একের পর এক ঘটনায় রাজ্য-নির্বাচন কমিশন সংঘাত ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। বুধবারই ঝাড়গ্রামের সভা থেকে কমিশনক কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।. আর এবার রাজ্যের পাঠানো তালিকা খারিজ করে দিল কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও দফতরে তিনটি পদের জন্য যে নাম চাওয়া হয়েছিল, সেই নামগুলি পছন্দ নয় কমিশনের।
ইতিমধ্যেই কমিশনে এসআইআর নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কমিশনের তরফে সিইও দফতরে সেই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সিইও দফতরের শূন্যপদ পূরণ করতেও নাম পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। তিনটি পদের জন্য নাম পাঠানো হয়েছিল। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (অ্যাডিশনাল সিইও) হিসেবে বিশেষ সচিব সুদীপ মিত্র, বিধাননগর পুরসভার বিশেষ সচিব সুজয় সরকার ও পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়নের অতিরিক্ত সচিব সুদীপ সরকারের নাম পাঠানো হয়। যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (জয়েন্ট সিইও) হিসেবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের অতিরিক্ত সচিব অরুন্ধতী ভৌমিক, স্টাফ সিলেকশন কমিশনরের সচিব সৌম্যজিৎ দেবনাথ ও স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব বহ্নিশিখা দে-র নাম পাঠানো হয় ও ডেপুটি সিইও পদের জন্য বিদ্যুৎ দফতরের যুগ্ম সচিব বা জয়েন্ট সেক্রেটারি রঞ্জন চক্রবর্তী, বিধাননগরের ল্যান্ড ম্যানেজার রাজীব মণ্ডল ও পূর্ত দফতরের যুগ্ম সচিব প্রিয়রঞ্জন দাসের নাম পাঠিয়েছিল রাজ্য।
বুধবার কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই তালিকা পছন্দ নয়। নতুন তালিকা বানিয়ে পাঠাতে হবে কমিশনে। অন্যদিকে, এটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বেশিদিন ওই শূন্যপদ ফেলে রাখা যাবে না।
সম্প্রতি কমিশনের তরফে রাজ্য়ের দুই অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন দুপুরেই ঝাড়গ্রামের সভা থেকে কড়া জবাব দেন মমতা। স্পষ্ট জানিয়ে দেন কোনও অফিসারকে সাসপেন্ড করা হবে না।