
কলকাতা: এই গরম, তার উপর যখন তখন লোডশেডিং। খাস কলকাতাতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কারেন্ট নেই। কোথাও কোথাও আবার, ঘড়ির কাঁটা ধরে যাচ্ছে কারেন্ট। বাইরে দাবদাহ, ঘরে লোডশেডিং! জোড়া ফলায় একেবারে ফালাফালা নাগরিক জীবন। বিদ্যুৎবিভ্রাট নিয়ে অস্বস্তির মুখেও পড়তে হচ্ছে তৃণমূল প্রার্থীদের। শুক্রবার কলকাতা পুরনিগমে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তৃণমূল কাউন্সিলরদের বক্তব্যেও উঠে এল বিষয়টি।
শুক্রবার কলকাতার শাসকদলের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কলকাতার মেয়র ও ডেপুটি মেয়র। শাসকদলের মুখ্যসচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত মেয়রের সামনে রীতিমতো প্রশ্ন তোলেন বিদ্যুৎ দফতরের ভূমিকা নিয়ে। এমনকী তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের দীর্ঘ সময় নিয়েও। সারা দিনরাত লোডশেডিং থাকলেও বিদ্যুৎ দফতরের কারও দেখা মেলে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আবেদনও করেন কাউন্সিলররা।
শুক্রবার কলকাতার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন পুরনিগমের মুখ্যসচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, “প্রার্থী নিয়ে প্রচারে গেলেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের নালিশ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।” বাপ্পাদিত্য লোডশেডিং নিয়ে মুখ খুলতেই একাধিক কাউন্সিলর এ নিয়ে সরব হন। এমনকী শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিমও তাঁর বক্তব্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে বলেন বলে খবর। অর্থাৎ বিদ্যুৎবিভ্রাটের বিষয়টি যে সকলেরই নজরে এসেছে, তা স্পষ্ট হয় এদিন।