
কলকাতা: দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর ধৃত জঙ্গিদের জেরা করে উঠে এসেছিল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ড্রোন দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। এই ছক যে আগামী দিনেও জঙ্গিরা করবে না তার কোনও গ্যারান্টি নেই। পাকড়াও হওয়ার পর পাল্টা প্রত্য়াঘাতেরও ছক কষতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। সে কারণেই দিল্লির আকাশকে আরও সুরক্ষিত করতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কিছুদিন আগেই আচমকা নেমে এসেছিল আঘাত। আর সে কথা মাথা রেখেই দিল্লির সুরক্ষা আরও মজবুত করছে ডিআরডিও। ইতিমধ্যেই DRDO-র পক্ষ থেকে একটি আধুনিক মাল্টিলেয়ার্ড Integrated Air Defence Weapon System (IADWS) গড়ে তুলছে। এই নেটওয়ার্কে দুই ধরনের দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকছে। QRSAM এবং VSHORADS—একসঙ্গে কাজ করবে। এই দুই সিস্টেম একযোগে দিল্লিকে যে কোনও বড়সড় আকাশ হানার হাত থেকে রক্ষা করবে। আটকে দেবে সুপারসনিক, সাবসনিক ক্রুজ মিসাইল থেকে শক্তিশালী সব ড্রোনের হামলাও।
QRSAM-এ রয়েছে GaN বেসড AESA রাডার ও EOTS প্রযুক্তি। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মাত্র তিন থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যে যে কোনও আসন্ন হুমকি ধরে ফেলতে পারে। এমনকী ধরার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা প্রত্যাঘাতী ক্ষেপণাস্ত্রও ছুঁড়ে দিতে পারে। ফলে আকাশেই খতম হয়ে যাবে শত্রুর খেলা। অন্যদিকে ড্রোন–মিসাইল প্রতিরক্ষায় VSHORADS-এরও জুড়ি মেলা ভার। চোখের পলকে কান ধরে নিচে নামাতে পারে শত্রুর ফাইটার জেটকে। এগুলির স্ট্যাটিক লঞ্চার সম্ভবত ব্যাটারির বদলে কনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই পাবে। ফলে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এটি অন্যদের আরও কয়েকধাপ এগিয়ে রয়েছে। এই নতুন মাল্টিলেয়ার্ড IADWS চালু হলে দিল্লির আকাশসীমা আরও নিরাপদ হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। পাশাপাশি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের সক্ষমতাও আরও একবার তুলে ধরবে বলেই মনে করা হচ্ছে।