কলকাতা: মানিক-পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যের জামিনের মামলায় এবার চাঞ্চল্যকর দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। উঠে এল কলামন্দিরের প্রসঙ্গও। ইডির অভিযোগ, কলামন্দিরে বসে বৈঠক করতেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। প্রতিটি ডিএলএড কলেজের থেকে সেখানে বসে ৫০ হাজার টাকা করে মানিক ভট্টাচার্য নিয়েছেন বলে অভিযোগ। ইডির দাবি, সেই টাকা পরবর্তীতে সৌভিকের কম্পানিতে জমা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ইডির তরফে আরও দাবি করা হয়েছিল, মানিক-পুত্র সৌভিকের সঙ্গে একটি ক্লাবের যোগ রয়েছে এবং সেই ক্লাবের মাধ্যমেও আর্থিক লেনদেন হয়েছে। যদিও সৌভিকের আইনজীবী জিষ্ণু সাহা দাবি করেন, ওই ক্লাবের সঙ্গে সৌভিকের নাম জড়িয়ে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। সৌভিকের আইনজীবী আদালতে জানান, পুরুলিয়ার যে ক্লাবটির কথা বলা হচ্ছে, সেই ক্লাবটি তৈরি হয়েছিল ১৯৭১ সালে এবং তাঁর মক্কেল অনেক পড়ে সেখানে যুক্ত হন।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আরও বলা হয়েছিল, ওই ক্লাবের থেকে আর্থিক সাহায্যে একটি স্কুল চলত। যদিও সেই স্কুলের নাম বা সেই স্কুল কোথায় রয়েছে, সেই বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা কিছুই জানায়নি বলেই দাবি সৌভিকের আইনজীবীর। সেক্ষেত্রে ক্লাবের টাকা কীভাবে ওই স্কুলে যাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন আইনজীবী জিষ্ণু সাহা। তাঁর দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নিয়ে সাইফন করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সৌভিক কোনওভাবেই যুক্ত নন বলেই দাবি তাঁর আইনজীবীর। কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে যে সৌভিকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা হয়নি, সেকথাও আদালতে তুলে ধরেন জিষ্ণু সাহা। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির রয়েছে।