
কলকাতা ও ঝাড়গ্রাম: সাতসকালে ইডির হানা। এই প্রথম বালিপাচার তদন্তে নামলো ইডি (Enforcement Directorate)। আজ, সোমবার সকালেই ইডি একযোগে ঝাড়গ্রাম ও বেহালায় অভিযান চালায় ইডি (ED Raid)। কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
সকালেই প্রথম ইডি হানা দেয় ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে এক বালি ব্যবসায়ীর বাড়িতে। ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি বেহালার জেমস লং সরণীতেও তল্লাশি চলছে। জিডি মাইনিং নামে একটি সংস্থায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই সংস্থাটি বালির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এই সংস্থার আরেকটি অফিস রয়েছে বিধাননগর, সেক্টর-ফাইভে। পাশাপাশি কল্য়াণীতেও ইডি হানা দিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরেও চলছে তল্লাশি।
ঝাড়গ্রামে গোপীবল্লভপুরে এ দিন ভোরে পৌঁছয় ইডির টিম। শেখ জহিরুল আলি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সুবর্ণরেখা নদীর পারেই এই বিশালাকার তিনতলা বাড়িটি অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে সুবর্ণরেখা নদী থেকেই বালি পাচারের অভিযোগ।
জহিরুল আলি বালি কারবারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বালি খাদান রয়েছে। ইডি সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়েই তল্লাশি চালাতে আসেন। জানা গিয়েছে, আগে তিনি ভিলেজ পুলিশ ছিলেন। পরে সেই চাকরি ছেড়ে বালির কারবার শুরু করেন। জহিরুল আলির গাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তিনি বালির ব্যবসা করেন, তবে কোনও বেআইনি কাজ করেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে।
অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরে সৌরভ রায় নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এরা সকলেই বালির অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্ত।
ইডির মোট ৪-৫টি টিম তদন্তে নেমেছে। একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল যে বালি পাচার হয়ে যাচ্ছে, প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এরপরই সম্প্রতি মামলা দায়ের করে ইডি। তারপর আজকের অভিযান।