কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ড (JU Student Death) নিয়ে এখনও উত্তাল রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি সিলমোহর দিয়েছে ব়্যাগিংয়ের তত্ত্বে। প্রাক্তনী ও বর্তমান মিলিয়ে যাদবপুরের মোট ১৩ পড়ুয়াকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে মেইন হস্টেলের অনেক আবাসিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই মেইন হস্টেলেরই তিন তলার ব্যালকনি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে যাদবপুরের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার। তাঁর মৃত্যু নিয়ে ঘনিয়েছে রহস্য। অভিযোগ, মৃত্যুর আগে ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন ওই পড়ুয়া। কিন্তু, তিনি পড়ে গিয়েছেন, নাকি কেউ ফেলে দিয়েছে, নাকি আত্মহত্য়া করেছেন তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। যাদবপুরের বয়েজ হস্টেলে যেখানে এই ছবি, এত কথা। সেখানে কিন্তু এক্কেবারে উল্টো নিয়মে চলে যাদবপুরেক গার্লস হস্টেলে।
সূত্রের খবর, গার্লস হস্টেলে রয়েছে কড়া নিয়ম। কঠোরভাবে মানা হয় ঢোকা-বেরনোর রেজিস্টার। রাত ১০ টার মধ্যে ঢুকতে হয় হস্টেলে। কোনও দিন রাতে দেরি করে ঢুকতে হলে আগে থেকে জানাতে হয় হস্টেল সুপারকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হস্টেলের আবাসিক বলছেন, পরিবার থেকে এসে শুধু থাকতে পারেন মা আর বোন। কোনও পুরুষের থাকার অনুমতি নেই হস্টেলে। একইসঙ্গে, হস্টেলে মাঝে মাঝেই টহল দেন হস্টেলের সুপার। খতিয়ে দেখেন যাবতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোথাও কোনও খামতি দেখলেই তৎক্ষণাৎ নেন ব্যবস্থা।
অন্যদিকে ছাত্রমৃত্যুর পর থেকেই বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে মেইন হস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমনকী আগেও যে লাগাতার ব়্য়াগিংয়ের অভিযোগ এসেছে তা উঠেছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও। প্রশ্নের মুখে পড়েছে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ। লালবাজারের তলবের মুখে পড়েছিলেন ডিন অফ স্টুডেন্টস, রেজিস্ট্রার। এমনকী ঘটনার পর এই মেইন হস্টেলে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে। তদন্তে উঠে এসেছে ‘হস্টেল বাপেদের’ কথা। সুপার থাকতেও কী করে হস্টেলে প্রাক্তনীদের দাপট চলে সেই প্রশ্নও উঠেছে নানা মহলে। উঠেছে সিসিটিভি বসানোর দাবি। সেখানে এই যাদবপুরেই গার্লস হস্টেল যেন গড়ে তুলেছে শৃঙ্খলার এক অনন্য নজির।