Partha Chatterjee: প্রায় এক মাস হতে চলল, এখনও পার্থর জামিনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানে না বিধানসভা?
West Bengal Legislative Assembly: ঘটনাচক্রে, প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ রাজ্যে কারা দফতরের অধীন। অথচ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মুক্তির পরে দ্রুত জেল থেকে সেই তথ্য বিধানসভায় এসেছিল। কিন্তু পার্থর ক্ষেত্রে কেন এমনটা হচ্ছে তা নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। এদিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিধানসভা না জানলে কোনও পদক্ষেপ হবে না পার্থের ক্ষেত্রে।

কলকাতা: কাটতে চলেছে প্রায় এক মাস। কিন্তু এখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত নয় বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। এদিকে নিয়ম বলছে হেফাজতে থাকলে বেকসুর খালাস অথবা জামিন পেলে বিধানসভা কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়। বিধানসভা আইন ও কার্যাবলীর ২৩২ নম্বর ধারা অনুসারে সেই কাজ করতে হয় গ্রেফতারকারী সংস্থা অথবা জেল কর্তৃপক্ষকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে জেল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হত বিধানসভাকে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তা জানাননি প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ।
ইডি, সিবিআই আর জেল মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন বছর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে হেফাজতে ছিলেন পার্থ। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। আদালতের নির্দেশে জেল মুক্তি হয় চলতি বছরের ১০ নভেম্বর। অসুস্থ থাকার কারণে হাসপাতালেও ছিলেন। জামিন নিশ্চিত হতেই পরের দিন অর্থাৎ ১১ নভেম্বর বাড়িতে ফেরেন তিনি। বাড়ি ফিরেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নানা মন্তব্যও করতে দেখা যায় তাঁকে।
ঘটনাচক্রে, প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ রাজ্যে কারা দফতরের অধীন। অথচ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মুক্তির পরে দ্রুত জেল থেকে সেই তথ্য বিধানসভায় এসেছিল। কিন্তু পার্থর ক্ষেত্রে কেন এমনটা হচ্ছে তা নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। এদিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিধানসভা না জানলে কোনও পদক্ষেপ হবে না পার্থের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ বেতন প্রাপ্তি, স্ট্য়ান্ডিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিতি-সহ বিধানসভার কোনও কাজেই বিধায়ক হিসাবে তিনি খাতায়-কলমে করতে পারবেন না। কিছুদিন আগেই আবার শীতকালীন অধিবেশন কবে তা জানতে নিজেই স্পিকার বিমান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন পার্থ। সেই সময় স্পিকার বলেছিলেন, “এখনও বিধায়ক রয়েছেন তিনি। তাই ওনাকেও আমরা নোটিস দিয়ে জানাব। আলাদা কোনও চিঠি নয়, সবাইকে যা চিঠি দেওয়া হয় তাই দেওয়া হবে।” কিন্তু এখন জেল কর্তৃপক্ষের চিঠি কবে আসে সেটাই দেখার।
