
বিধাননগর : তৃণমূল (TMC) কর্মী মদন খানকে গুলি করে খুনের (Murder) ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত করা হল প্রাক্তন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র সহ তিনজনকে। ২০১০ সালে বাঁকুড়ায় তালডাংরায় তৃণমূল নেতা খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় এদিন মনোরঞ্জন পাত্র, জিতেন পাত্র ও রমজান খানকে দোষীসাব্যস্ত করল বিধাননগর এমপি এমএলএ কোর্ট। এই মামলায় ২২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তথ্য ও প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে তিনজনতে দোষীসাব্যস্ত করা হয়। সাজা ঘোষণা হবে বৃহস্পতিবার। অভিযোগ ছিল, মদন খানকে বারবার সিপিএমে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তিনি তা না মানায় খুন করা হয় বলেই অভিযোগ ওঠে।
বুধবার এমপি এমএলএ কোর্টে ছিল সেই মামলার শুনানি। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১০ সালের ২৯ জুন। বিকেল ৫ টা নাগাদ ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির ভিতরে ঢুকে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। পরিবারের অভিযোগ ছিল, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বন্দুক, পিস্তল, বোমা, ভোজালি নিয়ে এসে তৃণমূলকর্মী মদন খানকে আকস্মিক আক্রমণ করে। তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হলে, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মদন খান। এরপরই ওই বাড়িতে বোমাবাজি চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তারপর এলাকা ছেড়ে পালায় তারা। অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা হয়। সেই সময় ওই এলাকায় সিপিএমের বিধায়ক ছিলেন মনোরঞ্জন পাত্র।
মদন খানের ছেলে ইসমাইল খানের অভিযোগ ছিল, সিপিএমের যোগ দিতে চাপ দেওয়া হলেও সেই সময় তা মানতে রাজি হননি মদন। ঘটনার দিনও বাড়িতে এসে সেই একই চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন ছেলে। বৃহস্পতিবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা করবে আদালত।