Exclusive Rudranil Ghosh: কেন প্রিয়াঙ্কা? কেন হারলেন? ভবানীপুরে প্রার্থীর নাম শুনে ব্যাখ্যা রুদ্রর

Bhawanipur Assembly By-election 2021: আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন।

Exclusive Rudranil Ghosh: কেন প্রিয়াঙ্কা? কেন হারলেন? ভবানীপুরে প্রার্থীর নাম শুনে ব্যাখ্যা রুদ্রর
অলঙ্করণ অভীক দেবনাথ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2021 | 5:40 PM

কলকাতা: সাধারণ নির্বাচনে ভবানীপুর (Bhawanipur Assembly By-election 2021) কেন্দ্রে বিজেপি ভরসা রেখেছিল রুদ্রনীল ঘোষের উপর। কিন্তু ২ মে গণনা শেষ হওয়ার বহু আগেই টের পাওয়া গিয়েছিল এ কেন্দ্রে তৃণমূলেরই ধ্বজা উড়তে চলেছে। চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পর দেখা গেল, বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তিনি ২৮ হাজার ৫০৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। যদিও সে ফলাফল আপাতত ‘ডিসমিস’। জয়ী বিধায়ক পদ ছেড়েছেন। এ আসনে ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন। ভোটে লড়তে চলেছেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি সাধারণ নির্বাচনে হেরে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন গত ৫ মে। অন্যদিকে এবার আর ভবানীপুরে বিজেপি রুদ্রনীলে ভরসা রাখেননি। বদলে বেছে নিয়েছেন ‘লড়াকু’ আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে। শুক্রবার সকালেই এই ঘোষণা বিজেপির। কিন্তু কেন আর ‘রুদ্র’ প্রতাপে ভরসা রাখল না পদ্মশিবির? নিজের মতো করে টিভি নাইন বাংলাকে সেই ব্যাখ্যাই শোনালেন রুদ্রনীল ঘোষ।

কেন এগিয়ে প্রিয়াঙ্কা?

রুদ্রনীল ঘোষের কথায়, “প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল যে কত বড় একজন লড়াকু মহিলা, বাংলায় ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে মানুষ তা দেখছেন। দীর্ঘদিন ধরে ভোট পরবর্তী হিংসাকে অস্বীকার করে চলেছে রাজ্য সরকার। অথচ প্রিয়াঙ্কা এই হিংসাকে কলকাতা হাইকোর্টের নজরে এনেছেন। অর্থাৎ ভোট পরবর্তী হিংসা যে রাজ্যে হয়েছে সেটার মান্যতা তিনি এনে দিয়েছেন। হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সিট গঠন করেছে। সত্যিই তো প্রিয়াঙ্কার লড়াই এই মান্যতা এই মান্যতা এনে দিয়েছে।”

কেন হেরেছিলেন রুদ্র?

ভবানীপুরে বিজেপির হারের অন্যতম কারণ হিসাবে রুদ্রনীল ঘোষের কাঠগড়ায় ‘তৃণমূলের ভোট চুরির কৌশল’। রুদ্রনীলের কথায়, “বিজেপির হেরে যাওয়ার জন্য যদি কোনও খামতি থেকে থাকে তা হল তৃণমূল যে পদ্ধতিতে ভোট চুরি করেছে, তা আটকানোর কোনও ধারণা তৈরি করা যায়নি। আসলে এ ভাবে যে ভোট চুরি হয় তা ভাবাই যায় না। এর সঙ্গে মানুষের ভোট দেওয়ার কোনও সম্পর্কই নেই। মানে ভোট করানো, গণনা করানো তো আর মানুষের ভোট দেওয়ার উপর নির্ভর করে না। মানুষ তো ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এরপর কী ভাবে সেখানে দু’নম্বরি করা যায় তাতে তৃণমূল এতটাই তীক্ষ্ণ ও পারদর্শী তা বলার নেই। সঙ্গে আবার পুলিশের নির্লজ্জ সহযোগিতা। এটাই বিজেপি ধরতে পারেনি, এটাই বিজেপির দুর্বলতা ছিল।”

আর নয় কেন রুদ্র?

গত ভোটে হারার কারণেই বিজেপি এবার আর রুদ্রনীল ঘোষের উপর ভরসা রাখল না, এমন কথা মানতে নারাজ তিনি। বরং রুদ্রনীলের যুক্তি, “বিজেপি একটা সাংগঠনিক দল। তারা কেন প্রার্থী করেনি সে জবাব তারাই দিতে পারবে। তবে প্রত্যেকটা নির্বাচনের সময় বেশ কিছু স্ট্র্যাটেজি থাকে। যে সমস্ত দলে ব্যক্তি নির্ভরতা নেই, সেখানে ইস্যু এবং স্ট্র্যাটেজিটাই খুব বড় হয়ে ওঠে। আমার মনে হচ্ছে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এই যে হাজার হাজার লোক ঘরছাড়া, এত মানুষ নিহত, ধর্ষিত হওয়ার পরও রাজ্য সরকার হিংসা হয়নি বলেছিল। কিন্তু তা হাইকোর্টের মান্যতায় সিবিআই দিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে, এটা ভারতবর্ষে বিরল। অর্থাৎ উপনির্বাচনে মূলত লড়াইটা সেই দু’জনের হতে চলেছে, একজন যিনি ভোটের পর সমস্ত হিংসাকে অস্বীকার করেছে এবং অপরজন যিনি তা স্বীকার করাতে বাধ্য করেছেন।”