কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের পর প্রকাশ্যে এসেছে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের ঘটনা। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা সিইএসসি-তেও নাকি রয়েছে থ্রেট কালচার। এমনই অভিযোগ ঘিরে গতকাল শোরগোল পড়ে ধর্মতলায় সিইএসসি-র প্রধান কার্যালয়ে। সিইএসসির একাধিক অফিসে কর্মবিরতিও পালন করেন একাংশ কর্মী। এবার কি থ্রেট কালচারের শিকার হলেন খোদ সিইএসসির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিবিউশন) অভিজিৎ ঘোষ? একটি ভিডিয়ো ঘিরে এই অভিযোগ ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা।
ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, অফিসে নিজের চেয়ারে বসে রয়েছেন অভিজিৎ ঘোষ। তাঁকে ঘিরে ধরে চিৎকার করছেন মহিলা কর্মীরা। আঙুল উঁচিয়ে কেউ তাঁকে বলেন, ‘মুখ সামলে কথা বলবেন।’ পেন স্ট্যান্ড ছুড়ে মারার হুমকি দেন আর একজন। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা সমীর পাঁজার বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে। মহিলারা অভিজিৎ ঘোষকে ঘিরে ধরে বলেন, ‘আপনি সমীর পাঁজার বিরুদ্ধে নোংরা কথা বললেন কী করে? সমীর পাঁজা কোনও পরিবেশ নষ্ট করেননি।’ বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘আমাদের সবাইকে সাসপেন্ড করুন।’ গতকাল ধর্মতলায় সিইএসসি-র কার্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে।
অভিজিৎ ঘোষকে ঘেরাওয়ের সময় ছিলেন মল্লিকা মুখোপাধ্যায় নামে এক কর্মী। নিজেকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্য জানিয়ে তিনি বলেন, “অভিজিৎ ঘোষ দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার। দুর্নীতি দেখে প্রতিবাদ করেছি।” অন্যদিকে, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা সমীর পাঁজা বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যে। কেউ হুমকি দেয়নি। কর্মীদের অভিযোগ নিয়ে তাঁর মন্তব্য জানতে অভিজিৎ ঘোষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
গতকাল থ্রেট কালচারের অভিযোগ সরগরম হয়ে উঠেছিল ধর্মতলায় সিইএসসি-র প্রধান কার্যালয়। সিইএসসি-র একাধিক অফিসে কর্মবিরতির ডাক দেন কর্মীদের একাংশ। যার জেরে দিনভর ভোগান্তির শিকার হন গ্রাহকরা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কাজ না হওয়ায় ফিরে যেতে হয়েছিল তাঁদের।