
কলকাতা: মঙ্গলবার কলকাতায় আসার পথে এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার কনভয়। পরে এসএসকেএম-এ (SSKM) মৃত্যু হয় তাঁর। বিধায়কের উপর ইতিমধ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছে মৃতের পরিবার। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হবে পাইলট কারের চালক প্রদীপ হালদারকে।
বর্তমানে প্রদীপ হালদার নিজে হাসপাতালে ভর্তি। আঘাত পেয়েছেন তিনিও। সুস্থ হওয়ার পর গ্রেফতার করা হবে তাঁকে। জানা যাচ্ছে, প্রদীপবাবু চুক্তিভিত্তিক কর্মী। যে পুলিশের গাড়িটি ধাক্কা মারে, সেই গাড়ির মেকানিকাল ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, যে পাইলট কারটি ধাক্কা মেরেছিল মোটর ভেইকেলস ডিপার্টমেন্ট একবছর আগেই সেই গাড়িটির রেজিস্ট্রশন বাতিল করেছিল। তাহলে কীভাবে এই গাড়িটি এখনও রাস্তায়? উঠছে প্রশ্ন। এছাড়াও, এক্সেল ছাড়া অন্য কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে এই ঘটনা ঘটলো কি না তা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা কনভয় নিয়ে কলকাতায় আসছিলেন। সেই সময় কলকাতা পুলিশের পাইলট কারের অ্যাক্সেলেটর ভেঙে যায়। গাড়িটি সামনে থাকা একটি মোটর বাইকে ধাক্কা মারে গুরুতর আহত অবস্থায় জখম ব্যক্তি মহম্মদ তাজউদ্দিনকে এসএসকেএম এ নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে তাঁকে।
এ দিকে, এই খবর পাওয়ার পরই কার্যত ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্য়রা। একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শওকত মোল্লার উপর।মৃতের স্ত্রী বলেন, “ওঁকে (শওকত মোল্লা) বলুন আমার স্বামীকে এনে দিতে। আমার ছোট বাচ্চা অপেক্ষা করবে ওর বাবার জন্য। উনি তো আস্তে গাড়ি চালান। হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালান না।” মৃতের শ্যালিকা বলেন, “এত কীসের এমারজেন্সি ছিল যে বিধায়ককে মেরে দিয়ে বেরতে যেতে হল। আমরা ছাড়ব না। ওঁর তো আসা উচিত ছিল আমাদের কাছে। এই বাচ্চাগুলোর দায়িত্ব কে নেবে?”
উল্লেখ্য়, ইলেকট্রিক পোস্টেও ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। তার পিছনেই ছিল বিধায়কের গাড়ি। অল্পের জন্য রক্ষা পায় বিধায়কের গাড়ি। চালক সজোরে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যায়। এই ঘটনায় মোটর বাইকটি সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। পাইলট কারের সামনের অংশও পুরো ভেঙে গিয়েছে।