Jadavpur University Student Death: ব়্যাগিং ছাড়াও যাদবপুরে তোলাবাজি? নবাগতদের থেকে তোলা হতো টাকা? গ্যাং লিডার সৌরভ?
Jadavpur University Student Death: প্রসঙ্গত, যাদবপুর কাণ্ডের তদন্তে ১১ অগস্ট প্রথমে গ্রেফতার করা হয় সৌরভ চৌধুরীকে। তারপর গ্রেফতার করা হয় দীপশেখর দত্ত, মনোতোষ ঘোষকে।
কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University Student Death) এখনও পর্যন্ত প্রাক্তনী ও বর্তমান পড়ুয়া নিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে আগেই, এবার যাদবপুরে উঠল ‘তোলাবাজির’ অভিযোগ। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন থেকে মেইন হস্টেলে ‘তোলাবাজি’ চালিয়ে গিয়েছেন সিনিয়ররা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সৌরভ চৌধুরী ও তাঁর গ্যাং হস্টেলের মধ্যে এই কাজ চালিয়ে যেত। সংগঠিত কাদায় চালিয়ে যেত এই কাজ। সূত্রের খবর, হস্টেলে নতুন কেউ এলে আগে দেখে নেওয়া হত তাঁর ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড। দেখা হত আর্থিক স্বচ্ছলতার দিকটা। তারপরই চাওয়া হতো টাকা।
সূত্রের খবর, নবাগতদের থেকে এই টাকা হাতে নেওয়া হত না। ‘তোলাবাজি’ চলত ডিজিটাল কায়দায়। টাকা পেলেই শুরু হতো মোচ্ছব। কোথাও সিনিয়ররা খাওয়া-দাওয়া করলে সেখানে ডিজিটাল পেমেন্ট করতে বলা হতো নবাগতরা। এমনকী যে সমস্ত নবাগতরা হস্টেলে আসত তাঁদের একটা তালিকা আগাম তৈরি করে ফেলত সৌরভ চৌধুরীর গ্যাংয়ের লোকজন। পুলিশ সূত্রে খবর, এ খবর জানা মাত্রই হতবাক তদন্তকারীরা। কোনও নতুন পড়ুয়ার উপর এভাবে জুলুমবাজি চলতে পারে, তা ভেবেই অবাক হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এখানেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন? তাহলে কী কিছুই জানতো না কর্তৃপক্ষের লোকজন?
ঘটনা শোনা মাত্রই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রথমবর্ষের মৃত পড়ুয়ার বাবা। রীতিমতো আক্ষেপের সুরে বলেন, “ফ্রেশার যাঁরা পড়তে যাচ্ছে তাঁরা ঘর পাচ্ছে না। ঘর না পেয়ে অনেকের পড়াই হচ্ছে না। আর প্রাক্তনরা ঘর দখল করে রাজপাট চালাচ্ছে! এ কেমন বিশ্ববিদ্যালয়! তাঁদের নাকি মাসে প্রচুর ইনকাম। তাঁরা নাকি বাড়িতে টাকা পাঠায়। এ কোন অদ্ভুত ইউনিভার্সিটি। যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগে ব্যবস্থা নিত তাহলে আজকে আমার ছেলের প্রাণটা অকালে ঝরে যেত না।”
প্রসঙ্গত, যাদবপুর কাণ্ডের তদন্তে ১১ অগস্ট প্রথমে গ্রেফতার করা হয় সৌরভ চৌধুরীকে। তারপর গ্রেফতার করা হয় দীপশেখর দত্ত, মনোতোষ ঘোষকে। ১৬ অগস্ট গ্রেফতার করা হয় সপ্তক কামিল্যা, অসিত সর্দার, মহম্মদ আরিফ, সুমন নস্কর, অঙ্কন সর্দার, মহম্মদ আসিফ আজমল নামে ৬ পড়ুয়াকে। এরইমধ্যে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয় শেখ নাসিম আক্তার, হিংমাশু কর্মকার, সত্যব্রত রায়কে। আরও তিন পড়ুয়াকে। এর মধ্যে দুই প্রাক্তনী রয়েছেন।