কলকাতা : ভুয়ো পুলিশ আধিকারিক, ভুয়ো চিকিৎসক, ভুয়ো সিবিআই অফিসারের খবর আগে মিলেছিল। তাই বলে এবার ভুয়ো বিধায়ক (Fake MLA)? বিধানসভায় বাজেট পেশের দিন এ ছবিই দেখা গেল কলকাতায়। চোখে তাঁর কালো ফ্রেমের চশমা, মাথায় কাঁচা-পাকা চুল, পরে সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট-জ্যাকেট। সূত্রের খবর, MLA পরিচয় দিয়ে এদিন বিধানসভায় ঢুকে পড়েন এই ব্যক্তি। ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এদিক-ওদিক। তা দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে নিজেকে গজানন শর্মা (৬৩) বলে পরিচয় দেন ওই ব্যক্তি। তিনি মধ্য হাওড়ার বিধায়ক বলেও দাবি করেন।
তবে তাঁকে জেরা করার সময়েই তাঁর বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি দেখতে পান পুলিশ কর্তারা। চাওয়া হয় আইডি কার্ড। তবে কোনও আইডি কার্ডই পুলিশকে দেখাতে পারেননি ওই ব্যক্তি। এরপরই আটক করা হয় তাঁকে। যদিও ধৃত ব্যক্তির দাবি তিনি নাকি খোদ রাজ্যপালের নির্দেশেই বিধানসভায় ঢুকেছিলেন। এখানে ঢোকার অনুমতিও রয়েছে তাঁর কাছে।
এদিকে যে সময় এ ঘটনা ঘটেছে তখন বিধানসভায় বাজেট পেশ করা হচ্ছে। সে সময় এ ঘটনা ঘটায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা বিধানসভা চত্বরে। তাঁর কোনও অসৎ উদ্দেশ্য আছে কি না তা জানার চেষ্টা করেন হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ কর্তারা। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের দাবি, মানসিক সমস্যা রয়েছে ওই ব্যক্তির। ২০২০ সালে তাঁর একমাত্র ছেলের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালে স্ত্রীর মৃত্যু হয়। বর্তমানে তাঁর পুত্রবধূর কাছে থাকেন ওই প্রৌঢ়। এখনও পর্যন্ত পুলিশ গোটা ঘটনায় কোনও ষড়যন্ত্রের হদিশ পায়নি।
তবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও নিজেকে বিধায়ক বলেই দাবি করেন ওই ব্যক্তি। বলেন, “আমি মধ্য হাওড়ার বিধায়ক। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশেই আমি এসেছি আজ বিধানসভায়। ওনাকে জিজ্ঞেস করলেই সব বুঝতে পারবেন। আমার ভিতরে যাওয়ার অনুমতি আছে। আপনি মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেও বুঝতে পারবেন।”