Fake Currency: বাসস্ট্যান্ডে দাঁড় করিয়ে তল্লাশিতেই চক্ষু-চড়কগাছ এসটিএফ-র, উদ্ধার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার জালনোট
Fake Currency: প্রসঙ্গত, কদিন আগেই আর্মহার্স্ট থানা এলাকায় রাজাবাজার ক্রসিংয়ের কাছ থেকে জালনোট সমেত পাচারকারীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় প্রায় ১ লক্ষ টাকার জালনোট।
মালদা : ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার জালনোট-সহ (Fake Currency) এক দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করল বেঙ্গল এসটিএফ। ৫ এপ্রিল মালদা (Malda) জেলার সুজাপুর থেকে নাসিউল শেখ (৩৪) নামে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। ওই ব্যক্তির কাছে যে প্রায় তিন লক্ষ টাকার জালনোট রয়েছে সেই খবর আগে থেকেই ছিল এসটিএফের কাছে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই নাসিউলকে ধরার জন্য কালিয়াচক থানার সুজাপুর বাসস্যান্ডের কাছে পাতা হয় ফাঁদ। সন্ধ্যা নামার মুখেই ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন নাসিউল। তখনই তাঁকে পাকড়াও করা হয়।
শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ-তল্লাশি। তল্লাশিতেই তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়। এর মধ্যে সিংহভাগ নোটই ৫০০-র বলে জানা যাচ্ছে। ধৃত ব্যক্তির বাড়ি সুজাপুরেই বলে জানতে পারা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে সুজাপুর থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত, চক্রে আরও কার কার উপস্থিতি রয়েছে, কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল এই বিপুল পরিমাণ জাল নোট তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই আর্মহার্স্ট থানা এলাকায় রাজাবাজার ক্রসিংয়ের কাছ থেকে জালনোট সমেত পাচারকারীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় প্রায় ১ লক্ষ টাকার জালনোট। ধৃত ২ জনের মধ্যে এক জন মালদার বাসিন্দা। অপরজন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। তাদের নাম রিঙ্কু শেখ ও আনন্দ দাস বিষ্ণো। এর মধ্যে ২৯ বছরের রিঙ্কু মালদা জেলার কালিয়াচক থানার খাসচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। ৫১ বছরের আনন্দ দাস উত্তর প্রদেশের বৃন্দাবন থানার অন্তর্গত রাধারমণ ঘেরার বাসিন্দা বলে জানিয়েছিল পুলিশ।