Fake Vaccine: পুরসভার ‘হেড ক্লার্ক নিয়োগ’ও করেছিলেন দেবাঞ্জন! মাসিক বেতন ঠিক হয় ২৩ হাজার টাকা
তবে এ চাকরি যে স্থায়ী নয় তা জানিয়ে রেখেছিলেন দেবাঞ্জন। আড়াই লক্ষ টাকা দিলে তাও পাকা হয়ে যাবে, বলেছিলেন তিনি।
ইন্দ্রজিৎ সাউ নামে ওই ব্যক্তিকে বলা হয় পুরসভার হেড ক্লার্ক হিসাবে কাজ করছেন তিনি। তাঁর পরিচয়পত্রেও তেমনই লেখা। বেতন ঠিক হয় সাড়ে ২৩ হাজার টাকা। এ চাকরি যে স্থায়ী নয় তা জানিয়ে রেখেছিলেন দেবাঞ্জন। তবে আড়াই লক্ষ টাকা দিলে তাও পাকা হয়ে যাবে বলে ইন্দ্রজিৎকে বলেছিলেন তিনি।
ইন্দ্রজিৎ সাউয়ের কথায়, “আমার পরিচয়পত্রে পুরসভার স্ট্যাম্প দেওয়া। আমার পদ হেড ক্লার্ক লেখা। আইডি নম্বরও দেওয়া রয়েছে। সবই আছে। আমি দু’মাস বেতনও পেয়েছি ২৩ হাজার ৫০০ টাকা করে। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যেত। প্রথমেই বলেছিলেন, ছ’ মাস ট্রেনিং চলবে। দু’ আড়াই লক্ষ টাকা দিলে চাকরি পাকা করে দেবেন বলেছিলেন।” শুধু ইন্দ্রজিৎকেই নয়, এ ভাবেই আরও বহু যুবককে দেবাঞ্জন পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ।
তদন্তের শুরু থেকেই বার বার দেবাঞ্জনের সঙ্গে ছোট লালবাড়ির যোগাযোগ তত্ত্ব উঠে আসছে। পুলিশ এখনও অবধি জানতে পেরেছে-
* পুরসভার যুগ্ম কমিশনার পরিচয় দিয়ে জালিয়াতির জাল বুনেছিলেন দেবাঞ্জন
* পুর কমিশনারের সই জাল করে তৈরি করেছিলেন ভুয়ো আইডি কার্ড
* পুরসভার নাম করে কসবায় এনজিও চালাতেন
* শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুরসভার লোগো দেওয়া মাস্ক, স্যানিটাইজার বিলি করতেন
* পুরসভার নামে কসবা এবং আমহার্স্ট স্ট্রিটে ভুয়ো টিকাকরণ শিবির করেন
* পুরসভার জাল ব্যানার, হোর্ডিং বানিয়ে তিলজলায় ‘দুয়ারে সরকার’ আয়োজন করেন
আরও পড়ুন: Fake Vaccine: কেউ দেখভাল করতেন ভুয়ো সংস্থা, কারও দায়িত্ব ছিল সই জাল করা; দেবাঞ্জনকাণ্ডে ধৃত তিন
* পুরসভার নাম করে সোনারপুর এবং উত্তর কলকাতায় ত্রাণ বিলি করেন
* পুরসভার বিশেষ কমিশনারের সই জাল করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন
* প্রথম অ্যাকাউন্ট পুরসভার নামে খোলেন দেবাঞ্জন। দ্বিতীয়টি খোলেন পুরসভার দুই শীর্ষকর্তার পরিচয় ভাঁড়িয়ে
* দুই ক্ষেত্রেই পুরসভার নথি, রবার স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছে
* অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন পুরসভার জিএসটি নম্বর। কলকাতা পুরসভার হলোগ্রাম ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠেছে
* পুরসভার নাম ভাঙিয়ে মাইক্রো ফিনান্স সংস্থাকে ১৭১টি টিকা বিক্রিও করেন দেবাঞ্জন