Fake Vaccination: তৃণমূলের নেতারা এখন পিঠ বাঁচাতে দেবাঞ্জনকে চিনছেন না, দাবি দিলীপের

ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ক্রমশ চাপ বাড়াতে শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। বিরোধীদের তরফে সক্রিয়তা যে বৃদ্ধি পাবে তা বৃহস্পতিবারই বিজেপি নেতাদের একাধিক টুইট বুঝিয়ে দিয়েছিল।

Fake Vaccination: তৃণমূলের নেতারা এখন পিঠ বাঁচাতে দেবাঞ্জনকে চিনছেন না, দাবি দিলীপের
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 26, 2021 | 9:49 AM

কলকাতা: কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে প্রথম থেকেই রাজনীতির রং লেগে গিয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে একদিকে যখন শাসকদলের একাধিক নেতার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, অন্যদিকে বিরোধীরা সেই ছবিকেই হাতিয়ার করেছে। শনিবার শিলিগুড়িতে আরও একবার এই ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপের বক্তব্য, ভ্যাকসিনকাণ্ডে তৃণমূলের নেতারা জড়িত। পিঠ বাঁচাতে এখন তাঁরা দেবাঞ্জনকে চিনতে পারছেন না।

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “কলকাতায় ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃতকে সরকার নিরাপত্তা দিয়েছে। সবাই চিনতেন। ফটোও আছে। ধরা পড়ে গেলে একটা তদন্ত কমিশন গড়ে দায় সাড়া হচ্ছে। এই ঘটনায় তো কলকাতা পুরসভাও জড়িত। অথচ এখন নেতারা বলছেন চিনি না। রাজ্য চাইলে এই ঘটনার তদন্ত সিবিআই দিয়ে করাতে পারত। কিন্তু তা তারা করছে না। কারণ তাদের নেতারাই জড়িত।”

ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ক্রমশ চাপ বাড়াতে শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। বিরোধীদের তরফে সক্রিয়তা যে বৃদ্ধি পাবে তা বৃহস্পতিবারই বিজেপি নেতাদের একাধিক টুইট বুঝিয়ে দিয়েছিল। শুক্রবার একেবারে মাঠে নেমে পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন সাংসদ সুভাষ সরকার, অশোক দিন্দা-সহ একাধিক বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে হাজির হন তিনি। গোটা ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের আবেদন জানান। বলেন, সমগ্র ঘটনা নিয়ে অবিলম্বে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হওয়া দরকার। যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী, তাঁদের শাস্তি দিতে হবে। তেমনটা না হলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে সিবিআই তদন্ত চাওয়া হতে পারে, সে ইঙ্গিতও দেন। টুইটারেও স্বপন দাশগুপ্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিংরা সরব হন এ নিয়ে।

আরও পড়ুন: দেবাঞ্জন-পর্বের মধ্যেই নতুন আতঙ্ক! আধার নম্বর জালিয়াতি করে টিকা নেওয়ার অভিযোগ

এবার এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। তাঁর সাফ দাবি, এই ঘটনায় তৃণমূলের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। বিপদে পড়ায় দেবাঞ্জনকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তারা। যদিও ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে লালবাজার। দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলাও করা হচ্ছে।