Fake Vaccine: ছাত্রের নামে জালিয়াতির অভিযোগ! ‘এ দায় আমরা এড়াতে পারি না’ বললেন দেবাঞ্জনের স্যার

ফুলবাগানে থাকেন পরেশকুমার নন্দ। দীর্ঘদিন টাকি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকেছেন তিনি। চোখের সামনে দেবাঞ্জনকে বড় হতে দেখেছেন।

Fake Vaccine: ছাত্রের নামে জালিয়াতির অভিযোগ! 'এ দায় আমরা এড়াতে পারি না' বললেন দেবাঞ্জনের স্যার
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 28, 2021 | 12:10 AM

কলকাতা: গত কয়েকদিনে আলোচনায় শুধুই দেবাঞ্জন দেব। রাজ্যে ভুয়ো ভ্যাকসিনের ক্যাম্প থেকে শুরু করে পুরসভার শীর্ষকর্তা সেজে ঘোরা — একের পর এক জালিয়াতির অভিযোগ এই যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার দেবাঞ্জনের এক গৃহশিক্ষক জানিয়েছিলেন, টালিগঞ্জে আর্টিস্ট ফোরামের কার্ড করে দেওয়ার নামে তাঁর থেকেও টাকা নিয়েছিলেন ছাত্র দেবাঞ্জন। তবে কি স্কুল জীবন থেকেই এমন ধারা এই ছেলের? একেবারেই উল্টো কথা বলছেন টাকি হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পরেশকুমার নন্দ। ক্লাস ওয়ান থেকে টুয়েলভ টাকিতেই পড়েছেন দেবাঞ্জন। তাঁর বড় হওয়া এই মাষ্টারমশাইয়ের চোখের সামনে। পরেশবাবু তো বিশ্বাসই করতে পারছেন এ-ই সেই দেবাঞ্জন!

ফুলবাগানে থাকেন পরেশকুমার নন্দ। দীর্ঘদিন টাকি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি। চোখের সামনে দেবাঞ্জনকে বড় হতে দেখেছেন। প্রথমে খবরটা শুনে কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন এই মানুষটি। নিজেই জানালেন সেই অভিজ্ঞতার কথা। পরেশবাবু বলেন, “ও যখন আমাদের মর্নিং সেকশনে পড়ত তখন যিনি ইনচার্জ ছিলেন এই খবরটা দেখে ওনাকে ফোন করি। তিনি দেখে বললেন, ‘হ্যাঁ স্যার এ তো সেই ছেলে। কিন্তু ও তো খুব খারাপ ছিল না’। আমিও হাইস্কুলে ওকে যা দেখেছি, তাতে ছেলেটি একটু মুখচোরা।”

তবে পরেশবাবু নজর করেছিলেন, দেবাঞ্জনের মধ্যে একটা অহং বোধ কাজ করে। সে কথা টিভি নাইন বাংলাকে বলতে গিয়ে পরেশবাবু জানান, “বাবা খুব ধনী। বাবার প্রচুর পয়সা। সেই অহংঙ্কার ওর মধ্যে ছিল।” কিন্তু তা বলে এত বড় জালিয়াতিতে সে ছেলের নাম জড়াবে মানতেই পারছেন না দেবাঞ্জনের স্যার। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “ওই ছেলে কিন্তু এরকম হওয়ার মতো নয়। ও কোনও চক্রে পড়ে গিয়ে এটা হয়েছে অথবা বাবার এই চাহিদাটা পূরণ করতে গিয়েই এই জায়গায় চলে গিয়েছে।”

আরও পড়ুন: কখনও আইএএস, কখনও পুরকর্তা! অভিযোগের যে ৯ তিরে বিদ্ধ দেবাঞ্জন

টাকি হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সংযোজন, “একজন শিক্ষক হিসাবে ওর এই অবস্থার দায়বদ্ধতা আমরা এড়াতে পারি না। কারণ, একজন ছাত্রের চরিত্রের গঠন হয় স্কুলে। সেই জায়গাটা আজ বড্ড ফিকে মনে হচ্ছে। সবাই চাইছে, এমনকী তার শিক্ষকরাও চাইছে ছাত্র অর্থ আয়ের যন্ত্র হোক। তারা সেদিকে এগোচ্ছে।” আর চাহিদার এই উচ্চাশাই হয়তো কখনও কখনও তৈরি করছে দেবাঞ্জনদের।