পানিহাটি : এতগুলো বছর ধরে শুধুই মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবেছেন বাবা-মা। স্কুলে মেধাবী ছাত্রী, ডাক্তারি পড়ার সুযোগও পেয়ে যান। এমবিবিএস পড়া শেষ করার পর স্নাতকোত্তরের পাঠ নিচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। স্বপ্নের দুনিয়ায় ওড়া আরও অনেক বাকি ছিল মেয়ের। তার আগেই সব শেষ। পানিহাটির মেয়ে তথা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জুুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যু এখনও মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবার-পরিজন।
যে মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য এতগুলো বছর ধরে লড়াই, শুক্রবার রাতে তাঁকে দাহ করে অস্থি হাতে বেরতে হল বাবা-মাকে। মেয়ের মৃত্যুর প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। অনেক রাতে বাড়ি ফিরেছেন বাবা-মা। পানিহাটির বাড়ি এখন থমথমে। কথা বলতে গিয়ে বারবার গলা কেঁপে যাচ্ছে তাঁর বাবার। এত নৃশংস মৃত্যু! কথায় কথায় জানালেন আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ‘তিলোত্তমা’র (নাম পরিবর্তিত)।
তাঁর বাবা জানিয়েছেন, বিয়ে প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছিল মেয়ের। পরের বছরই বিয়ে হবে, সেই মতো চলছিল প্রস্তুতি। পাত্রও ডাক্তার। কিন্তু সেই দিন আর দেখা হল না বাবা-মায়ের।
শুরু থেকেই ‘তিলোত্তমা’র বাবা-মা বারবার বলেছেন, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেও তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। ইতিমধ্য়েই একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি যাতে হয়, সে কথাই বলেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)