
কলকাতা: শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড এর মধ্যে মোট আটটি ক্রস প্যাসেজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়। ইতিমধ্যে সুরঙ্গের এসপ্ল্যানেড এর দিকে চারটি ক্রস প্যাসেজ তৈরি হয়ে গিয়েছে নির্বিঘ্নে। বাকি রয়েছে আরও চারটি ক্রস প্যাসেজ তৈরি করার কাজ। যার মধ্যে শনিবার KMRCL কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, শিয়ালদহের দিকে থাকা ১ এবং ৩ নম্বর ক্রস প্যাসেজ তৈরি করতে গেলে চরম বিপদ হয়ে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে কাজের সময় ভূ-গর্ভ থেকে জল বেরিয়ে যেতে পারে। কারণ এই দু’টি প্যাসেজ তৈরি করার জায়গায় মাটির অবস্থা একদম ভাল নেই বলেই মনে করছেন ইঞ্জিনিয়ররা। গ্রাউটিং এর জন্য খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হলেই অত্যন্ত ফোর্সের সঙ্গে জল বেরিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোন জটে আটকে?
বর্তমানে মদন দত্ত লেনে যে বিপর্যয় হয়েছে, সেই এলাকার নিচে রয়েছে ২ নম্বর ক্রস প্যাসেজটি। যেখানে যাবতীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েও এবং পলিউথিরিনের মতো গুণমান সম্পন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করেও জলস্রোত রোখা সম্ভব হয়নি। তাই এই ১ এবং ৩ নম্বর ক্রস প্যাসেজ কিভাবে তৈরি করা সম্ভব হবে তা নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় রয়েছে কেএমআরসিএল। এখান দেখার সমস্যার সমাধান কোন পথে হয়।
কী এই ক্রস প্যাসেজ?
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো টানেল বোরিং মেশিন এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত কাজ করার সময় ৫০০ মিটার অন্তর একটা করা ক্রস প্যাসেজ করে গিয়েছে। দু’টি টানেলের মাঝখানে থাকাই এই ক্রস প্যাসেজের কাজ। শিয়ালদহের দিক থেকে একটি টানেল রয়েছে, অন্যটি রয়েছে এসপ্ল্যানেডের দিক থেকে। মেট্রো চলাচলের সময় যদি কোনও বিপত্তি হয় তাহলে এই ক্রস প্যাকেজ দিয়ে যাত্রীদের এক লাইনের দিক থেকে অন্য লাইনে নিয়ে আসা হয়। তাই ক্রস প্যাসেজ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি কেএমআরসিএলের অন্তর্গত নির্মাণকারী সংস্থার কর্মীরা এই ক্রস প্যাসেজে গ্রাউটিংয়ের নিচের দিকে কাজ করছিলেন। সেই সময় খোঁড়াখুঁড়িতে জল বেরিয়ে পড়ে। তবে মনে করা হচ্ছে আগামী অক্টোবরের শুরুতেই শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পরিষেবা চালু করে দেওয়া সম্ভব হবে। ওই মাসের শেষেই সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান মেট্রোর পরিষেবা পাকাপাকি শুরু হয়ে যেতে পারে।