কলকাতা: সকাল থেকে মেঘলা আকাশ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। এতদিন সাহস করে বলা যাচ্ছিল না বর্ষা এল। তবে অবশেষে শনিবার স্বস্তির খবর শোনাল হাওয়া অফিস। আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ষার আগমন কলকাতায়। বর্ষা ঢুকেছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জিকে দাস জানান, দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু ঢুকে পড়েছে। তবে শুরুতে বর্ষা দুর্বল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত চলবে আপাতত। মূলত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতই চলবে। এখনই খুব ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতার জন্য নেই। তবে ২০ তারিখের পর থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি বর্ষা এখনও অবধি দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় ঢুকেছে। এরমধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানের কিছু অংশ, বীরভূমের কিছু অংশ।
শনিবার এদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে কলকাতায়। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায়। রবিবার বৃষ্টি হবে বীরভূম, দুই দিনাজপুরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জানান, এবার সাতদিন পর বর্ষা ঢুকল কলকাতায়। তবে এই দেরিকে খুব একটা অস্বাভাবিক তকমা দিতে নারাজ তিনি।
জিকে দাসের কথায়, “গত ১০ বছরের রেকর্ড দেখলে বোঝা যাবে অনেকবার ১৮ জুন বা ১৯ জুনের পরও বর্ষা এসেছে। এমনকী ২০ তারিখের পরও বর্ষা আসার নজির রয়েছে। সেই সম্ভাবনা থেকেই যায়। উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকেছিল ৩ তারিখ। কেরলে আগে বর্ষা ঢুকেছে বলেই যে বাংলাতেও আগে বর্ষা ঢুকে যাবে এমন নয়। এবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও বর্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে আগামী তিনদিন সব জায়গাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।”
উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টির জেরে জলস্তর বাড়ছে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, সঙ্কোশের। ভারী বৃষ্টির কারণে নিচু এলাকা জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষতি হতে পারে ফুল ও ফসলের। তবে আগামী পরশু অর্থাৎ সোমবার থেকে বৃষ্টি কমবে উত্তরের জেলাগুলিতে। তার আগে অবশ্য ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে রয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।