নয়া দিল্লি: কুমন্তব্যের জের। এবার দিল্লির নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় গিয়েছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অখিল গিরির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। দিল্লিতে FIR হওয়ায় অখিলের-মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে আলাদা মাত্রা পাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এ দিন লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা ওঁদের দলের সংস্কৃতি। রাজ্যের বিকাশ, উন্নয়নে ওদের কোনও উন্নতি হয়নি। ওদের উন্নতি হয়েছে মহিলাদের অপমান করার ক্ষেত্রে, বিশেষত আদিবাসী মহিলাদের অপমান করার ক্ষেত্রে। এটা সবাই জানে। আদিবাসীদের নিয়ে ওরা যে সামনে বড় বড় কথা বলে, আসলে ওদের চেহারাটা কেমন।”
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও পরিবারের সদস্যদের নিশানা করতে গিয়ে শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। এই ইস্যুতে শাসকদলকে নিশানা করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। অখিল গিরির পদত্যাগের দাবি পথে নামে বিজেপির তপশিলি উপজাতি মোর্চা।
শুধু বিরোধী দলনেতাই নন, অখিল গিরির কটাক্ষে মুখে পড়েন সাংসদ শিশির অধিকারীও। এখানেই থেমে থাকেননি অখিল গিরি। অধিকারীদের নিশানা করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন রাজ্যের মন্ত্রী। অখিল গিরি বলেন, “আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?”যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে,তার সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
এই ইস্যুতে শাসকদলকে নিশানা করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। মালব্য টুইট করেন, “অখিল গিরি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটের সদস্য। তিনি রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা তপশিলি বিরোধী। কখনই উনি দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে সমর্থন করেননি। এটা খুবই লজ্জাজনক মন্তব্য।”
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাষ্ট্রপতির জায়গায় দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে উল্লেখ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। এ দিন সে বিষয়ে লকেটের কটাক্ষ, “কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীও পার্লামেন্টে রাষ্ট্রপতিকে রাষ্ট্রপত্নী বলেছিলেন। এটা কংগ্রেস-তৃণমূল একই প্ল্যাটফর্মের লোক।” যদিও অখিল গিরির এই মন্তব্যে তিনিও তীব্র নিন্দা করেছেন।
ঘরে বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন অখিল গিরি। তিনি বলেন, “আমি রাষ্ট্রপতিকে কোনও কটাক্ষ করিনি। আমি একটা উদাহরণস্বরূপ বলেছি। আমিও সংবিধানের লোক। শুভেন্দু অধিকারী তো বলেছেন আমাকে কাকের মতো দেখতে, হাফ মন্ত্রী ইত্যাদি…”। যদিও অখিলি গিরির কোনও সাফাইয়ের চিড়ে ভেজেনি। অখিল গিরির ওপর ক্ষুব্ধ জাতীয় মহিলা কমিশনও।