TMC MLA Humayun Kabir: খুনের হুমকি সহ ৬ ধারায় FIR তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে, প্রকাশ্যে CCTV ফুটেজ

TMC MLA Humayun Kabir: ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সরকারি কর্মীকে লাথি, ঘুষি, চড় মেরেছিলেন বিধায়ক।

TMC MLA Humayun Kabir: খুনের হুমকি সহ ৬ ধারায় FIR তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে, প্রকাশ্যে CCTV ফুটেজ
হুমায়ুন কবির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2023 | 8:22 AM

কলকাতা: একসময় উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়ক হন প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবির। সম্প্রতি ভোট-হিংসা নিয়ে মুখ খুলে সংবাদ শিরোনামে আসেন তিনি। এবার সেই বিধায়কের বিরুদ্ধেই দায়ের হল এফআইআর। খুনের হুমকি, মারধরের অভিযোগ সহ একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে বিধাননগর উত্তর থানায়। ২০২২ সালে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রারকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রায় এক বছরের পুরনো একটি মামলায় কেন এতদিন পর নতুন করে এফআইআর হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এফআইআরে উল্লেখ, ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রারের অফিসে ঢুকে হুমকি দিয়েছিলেন হুমায়ুন কবির। অভিযোগকারীর দাবি, তাঁর অফিসে আচমকা প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় তাঁকে গালিগালাজ করতে থাকেন বিধায়ক। হুমায়ুন কবিরের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল ও তিনি খুনের হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। তবে সেই ফুটেজে সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সরকারি কর্মীকে লাথি, ঘুষি, চড় মেরেছিলেন বিধায়ক।

ওই ঘটনার দু’দিন পর অর্থাৎ গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার। এবার ফের নতুন করে হুমকি ফোন আসছে বলে অভিযোগ ওঠে। অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রারের দাবি, অফিসে বা রাস্তায় তাঁকে অজ্ঞাতপরিচয় লোকজন হুমকি দিচ্ছে। প্রাক্তন আইপিএসের বিরুদ্ধে মোট ছ’টি ধারায় এফ‌আইআর হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। পঞ্চায়েতে হিংসার ছবি দেখে তৃণমূল বিধায়ক দাবি করেছিলেন তিনি লজ্জিত। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি লজ্জিত। আমার খুব খারাপ লাগছে, কষ্ট হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোট মিটলেও যাঁরা বাড়ি ফিরতে পারলেন না, তাঁদের পরিবারগুলোর কী হবে।’