Fire in Kolkata : জতুগৃহ ট্যাংরা, ৬ ঘণ্টা পরেও দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, আহত ২ দমকলকর্মী
Fire in Leather Godown: ট্যাংরার মেহের আলি লেনে অগ্নিকাণ্ড। চামড়ার গুদামে ভয়াবহ আগুন। দুর্ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যেহেতু চামড়ার গুদাম এলাকাটি বেশ ঘিঞ্জি এবং ঘন বসতিপূর্ণ, তাই আগুন আশেপাশের এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে, আশেপাশের এলাকা থেকে বহু মানুষকে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন লাগার খবর পাওয়ামাত্র আতঙ্কিত হয়ে বহু স্থানীয় মানুষে বাইরে বেরিয়ে এসে জড়ো হয়েছেন। ওই গুদামের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে চামড়া মজুত থাকার কারণে ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এলাকা। এর পাশাপাশি চামড়ার গুদামে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তুও মজুত থাকার একটি আশঙ্কা রয়েছে।
কীভাবে এই আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা না গেলেও এই মুহূর্তে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দমকলকে জানানোর প্রায় দুই ঘণ্টা পরে তারা এসে পৌঁছায় এলাকায়। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “যেহেতু এলাকাটি ঘিঞ্জি, তাই দমকলের যেতে কিছুটা সময় লেগেছে। দমকল ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে এবং চারিদিক থেকে ঘিরে নিয়েছে। কোনও অসুবিধা নেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে।” রাজ্যে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, “আমাদের দফতরে শীর্ষ আধিকারিকদের আমি পাঠিয়েছি। পরিস্থিতির উপর আমার নজর রয়েছে।” এদিকে এলাকা বেশ ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ার কারণে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। এলাকায় পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে।
এর পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে গুদামের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিয়েও। কীভাবে আগুন এমন ভয়াবহ আকার নিল? গুদামে ন্যূনতম অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও কি ছিল না? এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠে আসতে শুরু করেছে। তবে এই এলাকায় যে গুদাম ও কারখানাগুলি রয়েছে, সেগুলি অত্যন্ত পুরানো। ফলে, অনেকক্ষেত্রেই এই সব গুদাম ও কারখানাগুলিতে অনেকক্ষেত্রেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকে না। তবে এই গুদামে নির্দিষ্টভাবে কোনও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কি না, তা এখনও জানা যায়নি। অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “আমার মনে হয় দমকলের অডিট হওয়া উচিত। যাঁরা অডিট করাবে না, তাদের নতুন করে আইন করে তাদের শাটডাউন নোটিস যাতে দমকল দিতে পারে, তার ব্যবস্থা হওয়া উচিত। তবে আমি দমকলমন্ত্রী নই, এটি আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমি সুজিত বসুকে এই বিষয়ে অনুরোধ করব।”