কলকাতা: রাত তখন বেশ গভীর। আশপাশের সমস্ত হাউজিংয়ের লোকজনই তখন ডুব দিয়েছেন গভীর ঘুমে। ঘড়ির কাঁটা পেরিয়েছে রাত ১টার গণ্ডি। আচকমা দেখা যায় লেকটাউন কালিন্দি হাউজিংয়ের C 2/3 ফ্ল্যাটের মধ্য়ে থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। চোখের পলকেই ধোঁয়ার পরিমাণ আরও বাড়তে থাকে। দূর থেকেই তা নজরে আসে এলাকার কয়েকজন লোকের। সকলেই সন্দেহ করেন আগুন লাগার কারণেই এই ধোঁয়া। দেরি না করে খবর যায় দমকলে, খবর যায় পুলিশে। খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দমকল কর্মীরা।
রাতেই শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। যদিও দমকল আসার আগেই উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আশপাশের ফ্ল্যাটের লোকজনের ঘুম ততক্ষণে ভেঙে গিয়েছে। সকলেই একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েন উদ্ধারকাজে। C 2/3 ফ্ল্যাটে থাকতেন অরিন্দম বিশ্বাস (৪৫) ও তাঁর মা সোনালী বিশ্বাস (৬৫)। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি।
হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি অরিন্দমবাবুকে। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে ডাক্তাদের চেষ্টায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তাঁর মা সোনালী দেবী। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা যাচ্ছে। তবে কীভাবে ওই ফ্ল্যাটে আগুন লাগল তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, অরিন্দমবাবু ঘরে সিগারেট খেতেন। সিগারেট থেকেই আগুন লেগে থাকতে পারে। যদিও শর্ট-সার্কিটের তত্ত্বও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই গোটা ঘর ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। তাতেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে অরিন্দমবাবু। প্রাথমিক তদন্তে এমনই অনুমান করছে দমকল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লেকটাউন থানার পুলিশ।