
কলকাতা: কালীপুজো-দীপাবলি যত এগিয়ে আসে, ওদের ক্ষেত্রে দিনটা যেন তত ভয়াবহ হয়ে যায়। কারণ ওরা অবলা। বুঝতে পারে না কী হচ্ছে। শুধু ভয়ে কাঁপে। কুঁকড়ে যায়। যাঁদের বাড়িতে পোষ্য রয়েছে তাঁরা নিশ্চয় প্রতিবছর এই দিনটায় এমন পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত?
৯০ ডেসিবেল থেকে ১২৫ ডেসিবেল শব্দ পর্যন্ত এবার ফাটানো যাবে বাজি। এতদিন পর্যন্ত যে বা যাঁরা পুলিশের ভয়ে শব্ধ বাজি ফাটানো থেকে বিরত থাকতেন, ধরাই যায় এবার তাঁরাও মাঠে নেমে পড়বেন। অনেকে হয়ত প্ল্যানও করেছেন এবার কী কী রাখবেন বাজি কেনার তালিকায়! তবে এর জেরে আর চারপাশের অবস্থা কী হতে পারে তার ধারনা রয়েছে?
এই শব্দ বাজির জন্য প্রতিবছরই নানা বিধি নিষেধ থাকে। এখন তো প্রায় সকলেই জানেন শব্দ বাজির জন্য হার্টের রোগী, শিশু, পোষ্যদের কী সমস্যা হয়। তারপরও কমেনি দাপট। এই বছর থেকে হয়ত আরও বাড়বে ফলে গৃহপালিত পশুদের শারীরিক অবস্থা যে আরও ভয়াবহ হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
চিকিৎসক চন্দ্রকান্ত চক্রবর্তী বলেছেন, “এটা তো ম্যান মেইড অত্যাচার ওদের জন্য। কালী পুজোর সময় রাস্তার সারমেয়রা ভয়ে রীতিমতো লুকিয়ে পড়েন। যাঁদের বাড়িতে পোষ্য রয়েছে তাঁরা ভয় পায়। ওদের নার্ভ ফেল করে। খুব সমস্যা হয়। এখনও যদি আমরা ওদের বিষয়ে না ভাবি কবে ভাবব?”
বারাসতের বাসিন্দা সৌম্যকান্তি সাহা। তিনি পশুপ্রেমী। বাড়িতে রয়েছে মাছ-বিড়াল। তিনিও টিভি ৯ বাংলাকে জানান, “আমি তো দেখি প্রতিবছর একই সমস্য হয়। বাজির আওয়াজ পেলেই বিড়াল লুকিয়ে যায়। চুপচাপ হয়ে যায়। ভয়ে বের হতে চায় না। লাউড আওয়াজে খুবই সমস্যা হয়। এবার তো শুনছি শব্দের মাত্রা আরও বেড়েছে। কী হবে জানি না।”
উৎসবের আনন্দে আমরা মাতলেও অবলা জীবদের কথা ভুললে চলবে না সে কথা আবারও মনে করিয়েছেন চিকিৎসক চন্দ্রকান্ত চক্রবর্তী। উপায় বলেছেন বাজির মারাত্মক শব্ধ থেকে কীভাবে বাঁচানো যায় পোষ্যদের।চন্দ্রকান্ত চক্রবর্তীর কথায়, “ওদের এই সময় অ্যানজাইটি হতে পারে। তাই পোষ্যদের ক্রেশে রাখা যেতে পারে। ওদের সঙ্গে থাকতে হবে। প্রয়োজনে হালকা মিউজিক চালিয়ে রাখতে হবে। ওই দিনগুলো ওদের সঙ্গে থাকতে হবে।”