কলকাতা: লেদার কমপ্লেক্সের শ্রমিক মৃত্যু ঘটনায় বড় ঘোষণা কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। জানিয়ে দিয়েছেন মেয়র। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালেও এই লেদার কমপ্লেক্সে তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। প্রায় একই রকমভাবে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের। ওই বছরের শেষে ৯ ডিসেম্বর ম্যানহল পরিষ্কার করতে নেমেছিলেন তিন শ্রমিক। সেখানেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের।
এদিকে তিন দিন আগে সুপ্রিম কোর্ট আবার বড় নির্দেশ দিয়েছে। সাফ বলা হয়েছে কলকাতা-সহ ৬ রাজ্যে হাত দিয়ে ময়লা তোলা ও নর্দমা পরিষ্কারে ম্যানহোলে মানুষ নামা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তারপরেও এ ঘটনায় নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে কার্যত একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল কলকাতায়। ওই বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি কুঁদঘাটে ম্যানহোলে নেমে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল একইভাবে। যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছিল। চাপানউতোরও হয়েছিল বিস্তর।
এদিকে কেন্দ্রের গাইডলাইনও রয়েছে ম্যানহোল ক্লিনিংয়ের ক্ষেত্রে। কিন্তু, বাস্তবের তার প্রতিফলন কতটা তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, এদিন লেদার কমপ্লেক্সের ঘটনা দেখে অনেকেই বলছেন, ম্যানহল পরিষ্কারের সময় কোনও প্রোটোকল মানা হয়নি। তাতেই বিপত্তি। দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকার নিকাশির বেহাল দশার। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এদিন যে ম্যানহোলে ওই তিন শ্রমিক নেমেছিলেন সেখানে তীব্র দুর্গন্ধ রয়েছে। বিপজ্জনক সব গ্যাসের উপস্থিতি রয়েছে। সেই গ্যাসের কারণেই ওই তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারণ পরিষ্কার হবে।