Firhad Hakim: অভিষেক ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে টাকা তুলতেন ববির OSD, থানায় অভিযোগ

Sayanta Bhattacharya | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 27, 2024 | 2:36 PM

Firhad Hakim: যদিও মেয়রের বক্তব্য, "আমি আগে কখনও এই ধরনের অভিযোগ শুনিনি। তারপরও যদি কোনও অভিযোগ থাকত, আমাকে দিত। আমি তদন্ত করাতাম। আমি এ ব্যাপারটা জানি না। একজন মানুষের নামে যদি এমনিই কোনও অভিযোগ আসে, যার কোনও ভিত্তি নেই, তাহলে আমি কী করে সরাব।"

Firhad Hakim: অভিষেক ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে টাকা তুলতেন ববির OSD, থানায় অভিযোগ
ফিরহাদের OSD-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচয় দিয়ে বাজার থেকে দেদার টাকা তোলার অভিযোগ। অভিযোগ খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ‘অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি’  অর্থাৎ ‘ওএসডি’ কালিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে শেক্সপিয়র সরণী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর অভিযোগ দায়ের করলেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরই দফতরের এক আধিকারিক।

যদিও মেয়রের বক্তব্য, “আমি আগে কখনও এই ধরনের অভিযোগ শুনিনি। তারপরও যদি কোনও অভিযোগ থাকত, আমাকে দিত। আমি তদন্ত করাতাম। আমি এ ব্যাপারটা জানি না। একজন মানুষের নামে যদি এমনিই কোনও অভিযোগ আসে, যার কোনও ভিত্তি নেই, তাহলে আমি কী করে সরাব।”

এই গোটা বিষয়টিতেই রাজনৈতিকভাবে শোরগোল তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাই বলছেন, তৃণমূল অন্দরেই এই বিষয়টি সুবিদিত, অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম দু’জনেই সমান্তরাল পথে হাঁটেন। রাজনৈতিক মতাদর্শ এক হলেও, অতীতে বেশ কিছু বিষয়ে দেখা গিয়েছে, দু’জনের মধ্যে একাধিক ক্ষেত্রে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। দেখা গেল, অভিষেকের দফতরে যে আধিকারিক, লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে শুরু করে বিভিন্ন দরকারি কাগজপত্র দেখতেন, তিনিই ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি কালিচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর এর মধ্যেই সূক্ষ্ম কোনও রাজনীতি রয়েছে কিনা, তা নিয়েই সন্ধিহান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এই খবরটিও পড়ুন

যদিও শেক্সপিয়র থানা সূত্রে খবর, এর আগেও কালিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে জানানো হয়েছিল। তারপরই অভিযোগ দায়েরের ব্যাপারে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয় বলে খবর।

আর এতেই সরব বিরোধীরা। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কালি টাকা তোলে। কালিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তোপসিয়ার যে তৃণমূল ভবন, যেটা ভেঙে নতুন করে তৈরি হচ্ছে, সেখানে ২০০ কোটি টাকার বিল্ডিং হচ্ছে TMC-র।  যিনি করছেন, কালি টাকা তুলে সেখানে পেমেন্ট করে। কালির সাতটা ফ্ল্যাট রয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে বেশি। গড়িয়া-নিউটাউনে ফ্ল্যাট রয়েছে।”

Next Article