Firhad Hakim: সবুজ আর নীল বালতি গোলালেই বিপদ! কলকাতাবাসীকে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ ফিরহাদের

Sayanta Bhattacharya | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 22, 2023 | 2:05 PM

Firhad Hakim: শুকনো ময়লা এবং ভেজা ময়লা পৃথক ভাবে ফেলছে কিনা। পাশাপাশি পুরসভার কম্প্রেসার মেশিনে শুকনো ময়লা এবং ভেজা ময়লা কীভাবে পৃথক করা হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখেন।

Firhad Hakim: সবুজ আর নীল বালতি গোলালেই বিপদ! কলকাতাবাসীকে লাস্ট ওয়ার্নিং ফিরহাদের
ফিরহাদ হাকিম (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: শুকনো ময়লা, ভেজা ময়লা-সবুজ বালতি, নীল বালতির হিসাবটা ঠিক মতো না বুঝলেই কিন্তু বড় শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে, আবারও সাবধান করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুরসভার আইন না মেনে ময়লা ফেললে এরপর থেকে বড় অঙ্কের টাকা ফাইন দিতে হবে জানালেন মেয়র। মঙ্গলবার সকালে ১২১ ওয়ার্ড বেহালায় ফিরহাদ হাকিম আসেন। খতিয়ে দেখেন যে বাসিন্দারা পৌরসভার সবুজ এবং নীল বালতি ঠিকঠাকভাবে ব্যবহার করছেন কিনা। শুকনো ময়লা এবং ভেজা ময়লা পৃথক ভাবে ফেলছে কিনা। পাশাপাশি পুরসভার কম্প্রেসার মেশিনে শুকনো ময়লা এবং ভেজা ময়লা কীভাবে পৃথক করা হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখেন।

এদিন মেয়র বলেন, “মানুষ যদি এই নিয়ম মানে ধাপার মাঠ আর তৈরি হবে না। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে আমরা মানুষকে সচেতন করব যেন পুরসভার এই নিয়ম মেনে ময়লা ফেলে মানুষ। যারা মানবে না, তাদের বাড়ি থেকে ময়লা কালেক্ট করা হবে না।” আর সেক্ষেত্রে রাস্তায় ময়লা ফেলে বড় জরিমানা করা হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

শহরকে স্বচ্ছ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুরসভা। শহরের যত্রতত্র ময়লা ফেললে আগে পুরসভার তরফ থেকে ৫০ টাকা জরিমানা করা হত। কিন্তু সেই অঙ্কটা এক ধাক্কা মেয়র বাড়িয়েছেন কয়েক গুণ। এখন শহরের যেখানে সেখানে ময়লা ফেললে ৫ হাজার টাকা জরিমান করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মেয়র। মেয়র বলেছেন, “কলকাতাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরসভার তরফে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে কিছু মানুষের মধ্যে অসচেতনতা দেখা যাচ্ছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই জরিমানা বাড়ানো হয়েছে।”

সুতরাং ফ্ল্যাট থেকে রাস্তায় জঞ্জাল ছুড়ে ফেলা কিংবা, পোষ্যের দেহ রাস্তার ধারের জঞ্জালে ফেলে দেওয়া, সবটাই এখন মাথায় রেখে করতে হবে, স্পষ্ট করে দিয়েছেন মেয়র। কলকাতা পুরসভা ১৪৪টি ওয়ার্ডেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ফেরুল পরিষ্কারের জন্য ১০০টি ওয়ার্ড পুরসভাকে কোনও অর্থ দিত না। ৪৪টি ওয়ার্ডকে তা দিতে হত।

Next Article