Corona in Kolkata: প্রয়োজনে আক্রান্ত হওয়ার ৫ দিন পর করোনা পরীক্ষা করানো যাবে, জানালেন মেয়র

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 31, 2021 | 7:16 PM

Corona in Kolkata: কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত স্পষ্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনুমান করা হচ্ছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ধীরে ধীরে সরিয়ে ওমিক্রন থাবা বসাচ্ছে।

Corona in Kolkata: প্রয়োজনে আক্রান্ত হওয়ার ৫ দিন পর করোনা পরীক্ষা করানো যাবে, জানালেন মেয়র
ট্যাবলো বিতর্কে কী বলছেন ফিরহাদ হাকিম (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা : কলকাতার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ক্রমশ। ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এরই মধ্যে কলকাতায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরনিগম। শুক্রবার এই সংক্রান্ত বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে মেয়র জানিয়েছেন, কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে ৮০ শতাংশের কোনও উপসর্গ নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। আর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ৩ শতাংশ। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কনটেনমেন্ট জ়োন তৈরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পাঁচ দিন পর করোনা পরীক্ষা

ফিরহাদ হাকিম বলেন, যেহেতু বহু মানুষের ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাই এখন অল্প দিনেই মানুষ করোনামুক্ত হয়ে যাচ্ছেন। যে সব পুরকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, তাঁরা চাইলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পাঁচদিন পর ফের করোনা পরীক্ষা করাতে পারেন। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে কাজে যোগ দিতে পারেন তাঁরা। পাশাপাশি পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁদের বাড়িতে ফোনে যোগাযোগ করে সব খবর নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ফিরহাদ।

কী ভাবে তৈরি করা হবে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন

শুক্রবার বৈঠকে বসে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন তৈরির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, যদি একটি ফ্ল্যাটে ৫ জন করোনা আক্রান্ত হন, তাহলে ওই আবাসনকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ওই আবাসনের লিফট স্যানিটাইজ করতে হবে। আবাসনের সুইমিং পুল, জিম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

পুরসভার বৈঠক

শুক্রবার কলকাতা পুরনিগমে বৈঠকে বসেন, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরাও। প্রাথমিক ভাবে শহরের ১১ টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বৈঠকে, যেখানে ৫ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। মূলত দৈনিক সংক্রমণ ও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। কলকাতার কোন কোন ওয়ার্ডে বা বোরোতে করোনা সংক্রমণ বেশি, তা নিয়ে আলোচনা হয় এ দিনের বৈঠকে।

কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণ!

স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ্য, কত নমুনা পাঠানো হচ্ছে আর কত নমুনা পরীক্ষার পর পজিটিভ হয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে, ৬ জনের নমুনা পাঠানোর পর ৫ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তা থেকেই বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত স্পষ্ট। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ধীরে ধীরে সরিয়ে ওমিক্রন তার থাবা বসাচ্ছে। কলকাতায় টেস্ট ও পজিটিভিটি রেটও সমান হারে বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত কলকাতায় ওমিক্রন আক্রান্ত ১৬।

আরও পড়ুন : Omicron Scare: ওমিক্রনের ধাক্কায় কোমর ভাঙতে পারে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর, টেলিমেডিসিনে জোর দেওয়ার পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

Next Article