কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও এখনই তাঁর জেলমুক্তি নয়। কিন্তু পার্থর জামিনে খুশি নন ফিরহাদ হাকিম। মনক্ষুণ্ন ববি। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওল্ড ব্রিগেডের দু’জন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম। যে সময় পার্থ গ্রেফতার হয়েছিলেন, সে সময়েই ফিরহাদকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘এটা আমাদের সবার কালেক্টিভ রেসপনসিবিলিটি।’ আর আজ পার্থ জামিন পেয়েছেন, এটা শুনেই সাংবাদিকদের সামনে ফিরহাদ বললেন, ‘এটা নিয়ে আমি কিছু বলব না। আই অ্যাম ভেরি ডিজহার্টেন…’
২০২২ সাল থেকে জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর গ্রেফতারির পরই গোটা বাংলায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সে সময়েই সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ‘দুর্নীতি কোনও জায়গায় হলে, পার্থ দার যতটা দায়িত্ব, ততটা দায়িত্ব আমারও। আমরা পরিবার। কারোর ঘাড়ে কারোর দায় ঠেলতে পারি না।’ আড়াই বছর আগে যে মানুষটা এমন কথা বললেন, পার্থর জামিন পেয়েছেন শুনে কেন হঠাৎ ‘ডিসহার্টেন’ হলেন ফিরহাদ?
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য রাজনীতির দিক থেকে অনেকটাই তাৎপর্যপূর্ণ। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, পার্থর জামিনে দলের যে কিছু আর আসে যায় না, তা একটা বক্তব্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন ফিরহাদ। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছে। নির্বাচনেও তার প্রভাব পড়েছে। অন্তত তেমনই ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর। আর সেই কারণেই এই দূরত্ব।
উল্লেখ্য জামিন পেলেও এখনই জেলমুক্তি হবে না পার্থর। জেলমুক্তির পরও আর মন্ত্রী হতে পারবেন কিনা পার্থ, সেটাও লাখ টাকার প্রশ্ন।