কলকাতা: চুরির প্রতিবাদ করায় রাতে মহেশতলায় (Maheshtala) চলল গুলি। এ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। এদিকে মহেশতলা পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সন্তোষপুর মোল্লাপাড়ায় বাসিন্দা মেহেরাজ মোল্লা এলাকায় সমাজবিরোধী হিসেবে পরিচিত বলে জানা যাচ্ছে। এদিন সন্ধ্যায় সন্তোষপুর স্টেশনের কাছে একটি দোকান থেকে সে নগদ কুড়ি হাজার টাকা চুরি করে বাড়ি চলে আসে বলে অভিযোগ। এরপরই ওই দোকানের মালিক সহ বেশকিছু লোক মেহরাজ মোল্লার বাড়িতে আসে। এলাকাবাসীদের ঘটনাটি জানায়।
এলাকার বাসিন্দারা মেহরাজ মোল্লার সঙ্গে কথা বলতে গেলে মেহেরাজ তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। এরপরই মেহেরাজ মোল্লার পরিবারের লোকজন তাদের বাড়ির ছাদের উপর থেকে এলাকাবাসীদের উদ্দেশে কাচের বোতল, ইট ছুড়ে মারতে থাকে। শোরগোল শুরু হয়ে যায় গোটা এলাকায়। এরপরই মেহেরাজ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শূন্যে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীদের গুলি করে মেরে দেওয়ার হুমকিও দেয়। এদিকে কাচের বোতল ও ইটের আঘাতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। উত্তেজিত এলাকার বাসিন্দারা মেহরাজ মোল্লার বাইকে পাল্টা ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে খবর।
রক্তাক্ত অবস্থাতেই স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ দিজাওয়ার মোল্লা বলেন, “ওরা সবাই সমাজবিরোধী। দুই ভাই মিলে আমাকে ইট দিয়ে মাথায়, মুখে মারে। মাথা ফেটে গিয়েছে। কাচের বোতলও ছুঁড়তে থাকে।” আর এক স্থানীয় বাসিন্দা মইদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, “মেহেরাজ আমাকে সকলের সামনেই মাথায় বন্দুকধরে ভয় দেখায়। আমি ঠেলা দিয়ে ভয়ে ওখান থেকে চলে আসি। তারপর উপর থেকে দেখি গুলি চালাচ্ছে। তারপর ইট, আর বোতল ছুড়তে থাকে। কিন্তু, এত অল্প সময়ের মধ্যে কী করে অত বোতল-ইট জোগাড় করল আমরা বুঝতে পারছি না। ওদের আগে থেকেই ঝামেলা করার পরিকল্পনা ছিল। শুনেছি ওরা কিছু টাকা ও দোকানের মালপত্র ছিনতাই করে ওরা চলে আসে। এ ধরনের ঘটনা আমরা কেউ সমর্থন করি না।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মহেশতলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামে RAF। ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ তিন অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে মহেশতলা থানায়। মূল অভিযুক্ত মেহরাজ মোল্লা পলাতক বলে জানা যাচ্ছে। এলাকার পরিস্থিতি রীতিমতো থমথমে।