SFI Leaders: বাংলার SFI এর ইতিহাসে প্রথম, মহিলাদের কাঁধেই সম্পাদক-সভাপতির দায়িত্ব
SFI Leaders: গত ১৯ মাসে ৩১ বছরের কম, ২৫ বছর বয়সীদের কমদের পার্টি সদস্য করায় অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তাতে ঘাটতি হওয়ায় চিন্তা বাড়ছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের। সেই উদ্বেগ কাটাতে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে দলীয় নেতৃত্বকে।
কলকাতা: বছর তিনেক কলকাতা জেলা SFI এর সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন আতিফ নিসার। সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন দেবাঞ্জন দে। এবার একযোগে সংগঠনের দুই মহিলা কর্মীর কাঁধে গেল গুরু দায়িত্ব। দলীয় সংগঠনে মহিলাদের উপস্থিতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তাদের ভূমিকায়। এমনকি, সম্প্রতি প্রকাশিত পার্টি চিঠিতেও সেই উদ্বেগ শুধু ধরা পড়েছে। সমালোচনা করা হয়েছে শাখা থেকে রাজ্য কমিটির সক্রিয়তা নিয়ে। শুধুমাত্র উদ্বেগ ধরা পড়েছে তাই নয় সমালোচনা করা হয়েছে শাখা, এরিয়া, জেলা ও রাজ্য কমিটির সক্রিয়তা নিয়েও।
মাঠে ময়দানে আন্দোলনে তরুণদের উপস্থিতি চোখে পড়লেও তাঁদের দলীয় সদস্যপদ নেওয়া বা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে যত্ন পরিচর্যার প্রয়োজন, তা নিয়ে গুরুতর দুর্বলতা ও ঘাটতি থাকছে। যা বড় উদ্বেগের। কবুল সিপিআইএমের পার্টি চিঠিতে।
আর এবার দুই মেয়ের ওপর ভরসা করে কলকাতার ছাত্র সংগঠন আরও গোছাতে চায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ম্যানেজাররা। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই কলকাতা জেলা SFI এর নতুন সম্পাদক হয়েছেন দিধীতি রায়। সভাপতি হয়েছেন বর্ণনা মুখোপাধ্যায়। অতীতে একসঙ্গে SFI এর কোনও জেলা কমিটির সম্পাদক আর সভাপতির দায়িত্ব মেয়েদের হাতে গিয়েছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। SFI এর রাজ্য সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের নানা পথকে ভেঙে নতুন ছকে হাঁটছে তাঁরা। সেই পথেই নব সংযোজন কলকাতা জেলা কমিটির পদাধিকারীরা।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নবীন প্রজন্মকে এগিয়ে দিয়ে পিছনে থাকতে চাইছেন মহম্মদ সেলিম, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। যার ছবিও ধরা পড়েছে বিগ্রেডেও। যদিও পার্টি চিঠিতে তার বিপরীত চিত্রের কথাই উঠে এসেছে। গত ১৯ মাসে ৩১ বছরের কম, ২৫ বছর বয়সীদের কমদের পার্টি সদস্য করায় অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তাতে ঘাটতি হওয়ায় চিন্তা বাড়ছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের। সেই উদ্বেগ কাটাতে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে দলীয় নেতৃত্বকে।
মহিলাদের দলীয় সদস্য পদে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রেও গুরুতর দুর্বলতা রয়েছে বলেও মেনে নিয়েছেন সিপিআইএম নেতৃত্ব। তবে এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র শাখাগুলির উপর দায় চাপিয়ে দিলেই হবে না। দায় নিতে হবে এরিয়া, জেলা কমিটিকেও। তবে সেই মহিলাদের দলীয় সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে সিপিআইএমের অন্দরে সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে চর্চা হয়েছে। কিন্তু তা থেকে বেরিয়ে মহিলাদের সদস্য পদ বাড়ানো যায়নি, তা স্পষ্ট পার্টি চিঠিতে। তবে এ ক্ষেত্রে রাজ্য কমিটির ভূমিকাও আতস কাঁচের নিচে পড়েছে। সে কারণেই বলা হয়েছে মহিলাদের সদস্য পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় হতে হবে রাজ্য কমিটিকেও।
এদিকে সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতীকউর রহমানরা সরছেন এসএফআই থেকে। এই খবর আগেই সামনে এসেছিল। রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব রয়েছে সৃজনের কাঁধে, রাজ্য সভাপতির দায়িত্বে প্রতীকউর। তাঁদের জায়গায় নতুন কারা দায়িত্ব পেতে পারেন তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।