কলকাতা: সক্রিয় রাজনীতিতে ইদানিং তাঁকে সেভাবে দেখা না গেলেও এককালে তৃণমূলের প্রথম সারির মুখ ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। সেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা এখন খবরের শিরোনামে। জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনের অভিযোগে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য। গ্রেফতার করা হয়েছে ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত শাহরুল শেখকে। সূত্রের খবর, পুলিশি তদন্তে উঠে আসছে সংগ্রামপুর সংলগ্ন টেকপাঁজা এলাকার নাম। সামগ্রিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে এবার মুখ খুললেন কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রাজনীতি তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। কীভাবে দেখছেন তিনি গোটা বিষয়টি?
বুধবার ভাইফোঁটার দুপুরে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে জয়নগর বিষয়ে প্রশ্ন শুনে, গোটা বিষয়টি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই ব্যাখ্যা করছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। বললেন, “কোনও মৃত্যই কাম্য ছিল না। নিশ্চয়ই সেটির একটি প্রতিঘাত হয়েছে। অপরাধীরাও ধরা পড়েছে। তবে জয়নগরের ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।” জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, তদন্তে যে সংগ্রামপুর, টেকপাঁজা এলাকার নাম উঠে আসছে বলে জানা যাচ্ছে, সেই সব জায়গার অতীত পরিস্থিতি কেমন ছিল সে কথাও বললেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ভয়ঙ্কর সব অভিযোগের কথা শোনালেন তিনি। প্রশ্ন করলেন, “আপনারা সংগ্রামপুর, টেকপাঁজা, নেত্রা… এসব জায়গা কতটুকু দেখেছেন? ১৯৮৪-৮৫ সালে এখানে মানুষের মাথা কেটে ফুটবলের মতো গড়িয়ে পায়ে মারা হয়েছিল। সেখান থেকে পরিকল্পনা করে এসে, এভাবে রেইকি করে মার্ডার করেছে।”
প্রসঙ্গত, জয়নগরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধীরা নাগাড়ে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে শাসক শিবিরকে। পাল্টা দিচ্ছে তৃণমূলও। তবে শোভনের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ, “দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিরোধী শক্তি তাদের পায়ে পাতা বিন্দুমাত্র ডোবাতে পারবে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আমাদের সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী। গোসাবা, বাসন্তী ক্যানিং পূর্ব, জয়নগর সর্বত্রই দেখবেন তৃণমূল অনেক সংগঠিত, শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ আছে। অনেকসময় ফুসকুড়ি থেকে গ্যাংগ্রিন হয়ে যায়। কিন্তু সেটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।”