Buddhadeb Bhattacharjee : ‘আমি শোকাহত ও মর্মাহত’, তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকবার্তা বুদ্ধদেবের
Buddhadeb Bhattacharjee : তরুণ মজুমদার আজীবন বামপন্থী ছিলেন। একাধিকবার বামফ্রন্টের নানা কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের সিপিএম প্রার্থীকে জেতানোর আবেদন জানিয়ে খোলা চিঠি লিখেছিলেন তিনি।
কলকাতা : না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন বাংলার কিংবদন্তী পরিচালক তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলিউড। শোকপ্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। কিংবদন্তী পরিচালকের প্রয়াণের খবর পেয়ে মুহ্যমান রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, “আমি শোকাহত। আমি মর্মাহত।”
৭৮ বছরের বুদ্বদেব ভট্টাচার্য নিজেও পুরোপুরি সুস্থ নন। গত বছর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। এখন বাড়িতেই থাকেন। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ তরুণ মজুমদারের প্রয়াণের খবর জানার পর ভেঙে পড়েন তিনি।
বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তরুণ মজুমদার। ১৪ জুন থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৯১ বছরের কিংবদন্তী এই পরিচালক। আজ তাঁর প্রয়াণের পর শেষ শ্রদ্ধ জানাতে গিয়েছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তী, শতরূপ ঘোষরা। হাসপাতালে যান অরূপ বিশ্বাস, মদন মিত্র, ইন্দ্রনীল সেনরা। প্রয়াত পরিচালক চেয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর দেহে ফুল, মালা যেন না দেওয়া হয়। তাঁর সেই ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়েই ফুল-মালা দেওয়া হয়নি দেহে।
পরিচালকের ইচ্ছে ছিল মরণোত্তর দেহদানের। সেই মতো এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে এনটিওয়ান স্টুডিয়ো হয়ে আবার এসএসকেএম হাসপাতালেই ফিরে আসে তাঁর দেহ। সেখানেই হয় মরণোত্তর দেহদান। প্রয়াত কিংবদন্তীর শেষ যাত্রায় কাস্তে-হাতুড়িতে শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে। তরুণ মজুমদারের মরদেহে সাদা কাপড়ের উপর জড়ানো হয় লাল পতাকা। বুকের উপর রাখা ছিল গীতাঞ্জলি।
তরুণ মজুমদার আজীবন বামপন্থী ছিলেন। একাধিকবার বামফ্রন্টের নানা কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের সিপিএম প্রার্থীকে জেতানোর আবেদন জানিয়ে খোলা চিঠি লিখেছিলেন তিনি। ওই কেন্দ্রে মীনাক্ষীর দুই হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপি-র শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ কিংবদন্তী এই পরিচালকের প্রয়াণের পর রাজ্য সিপিএমের তরফে শোকপ্রকাশ করা হয়। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সুজন চক্রবর্তী শোকপ্রকাশ করে বলেন, “বাংলার সংস্কৃতি জগতে ইন্দ্রপতন। বাংলার সমাজ জীবনের বড় ক্ষতি।”