SIR Online Form: বাড়ি-বাড়ি যাচ্ছেন বিএলও-রা, এদিকে ওয়েবসাইটে ‘ঝুলছে তালা’! SIR নিয়ে চিন্তায় পরিযায়ীরা
SIR in Bengal: ইতিমধ্যেই এই বিড়ম্বনা নিয়ে মুখ খুলেছে কমিশন। তাঁদের দাবি, বিহারের তুলনায় এই ১২টি রাজ্যের ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজ অনেকটাই জটিল। আর অনলাইনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে 'ডিজিটাল স্বাক্ষর'। সুতরাং, সেই কাজে যেন কোনও সমস্যা বা ফাঁকি না থাকে, তাই সময় নিয়েই অনলাইন ব্য়বস্থা তৈরি করছে তাঁরা।

কলকাতা: মঙ্গলবার বাংলা-সহ ১২টি রাজ্য়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজ। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করছেন বিএলও-রা। কমিশন বলছে, কাজের গতির নিরিখে এগিয়ে বাংলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২ কোটির অধিক Enumeration Form বিলির কাজ শেষ করেছেন বিএলও-রা। কিন্তু যাঁরা বাইরে আছেন, তাঁদের কি হবে?
কর্মসূত্রে অন্য রাজ্য বা অন্য কোনও দেশে থাকা ভোটারদের জন্য অনলাইন ব্যবস্থার কথা জানিয়েছিল কমিশন। কিন্তু তিন দিন কেটে গেলেও এখনও শুরু হল না সেই অনলাইন ফর্ম ফিল-আপ। কমিশনের ওয়েবে এখনও অধরা এন্যুমারেশন ফর্ম। ফলত চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন বাড়ি থেকে দূরে থাকা ভোটাররা। কবে মিলবে অনলাইন ফর্ম? সেই চিন্তায় কার্যত ঘুম উড়েছে তাঁদের। কমিশন কি তাঁদের বাড়তি সময় দেবে? এই প্রশ্নও তুলে ধরেছেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই এই বিড়ম্বনা নিয়ে মুখ খুলেছে কমিশন। তাঁদের দাবি, বিহারের তুলনায় এই ১২টি রাজ্যের ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজ অনেকটাই জটিল। আর অনলাইনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে ‘ডিজিটাল স্বাক্ষর’। সুতরাং, সেই কাজে যেন কোনও সমস্যা বা ফাঁকি না থাকে, তাই সময় নিয়েই অনলাইন ব্য়বস্থা তৈরি করছে তাঁরা। সূত্রের খবর, এই সপ্তাহে না হলেও আগামী সপ্তাহের মধ্যেই অনলাইন ফর্ম প্রকাশ করবে কমিশন। অবশ্য একাংশের কর্তাদের মতে, যাঁদের পক্ষে সম্ভব, তাঁরা যেন বাড়ি এসে বিএলও মারফৎ ফর্ম ফিল-আপ করেন। তা হলে ত্রুটির সম্ভবনাও অনেকটাই কমবে।
এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক
ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে একাংশের মনে। ২০০২ সালের সংশোধিত তালিকায় নাম নেই অনেকেরই। চিন্তায় তাঁরা। আতঙ্কে অসুস্থ হচ্ছেন কেউ কেউ। কিন্তু তালিকায় নাম না থাকলে ঠিক কী করবে কমিশন? ডিটেনশনে পাঠিয়ে দেবে নাকি অন্য কোনও ব্য়বস্থা? কমিশন বলছে, ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে নোটিস পাঠাবে কমিশন। তারপর হবে শুনানি পর্ব। নির্দিষ্ট আধিকারিকের কাছে যেতে হবে নাম না থাকা ভোটারকে। তিন ধাপে হবে সেই শুনানি। সেখানে নাম না থাকা ভোটার যদি নিজের তথ্য দেখাতে পারেন ও কমিশনের আধিকারিককে নিজের দেওয়া নথি-তথ্যের মাধ্য়মে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তা হলেই নতুন তালিকায় নাম উঠে যাবে তাঁর।
