Fraud Case: রিটেল ব্যবসার নামে শহরের বুকে ৪ কোটি টাকার প্রতারণা, হাতেনাতে ধরল পুলিশ
Fraud Case: কাউকে টাকা নিয়ে জিনিস দেওয়া হয়নি, কারও কাছ থেকে ধার নিয়ে তা মেটানো হয়নি।
কলকাতা : জিনিস দেবে, এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই টাকা নিতেন ব্যবসায়ী। কিন্তু, দিনের পর দিন কেটে যায়, জিনিস আসে না। মুদিখানার পাইকারি দোকান থেকে অনেক ব্যবসায়ীই জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যবসায়ীকরা। অভিযোগের পাহাড় জমছিল। অবশেষে অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরল পুলিশ। প্রায় ৩০টি অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
প্রায় ৪ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। চন্দ্র প্রকাশ ধরণী ধরকা নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে লেক টাউন থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই একাধিক ব্যবসায়ী লেক টাউন থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই অভিযোগ নিয়ে। লেক টাউন থানার অন্তর্গত বরাট এলাকার লক্ষ্মী নারায়ণ ভাণ্ডার নামের একটি পাইকারি মুদিখানার দোকানের বিরুদ্ধেই অভিযোগ জানান তাঁরা। বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে দ্রব্য বিক্রির নামে অগ্রিম টাকা নিয়েছিলেন তবে সেই দ্রব্য ক্রেতাদের দেয়নি বলেই অভিযোগ ওঠে চন্দ্র প্রকাশ ধরণী ধরকার বিরুদ্ধে।
এ ছাড়াও অভিযোগ, এই দোকানের মহাজনের থেকে ধারে দ্রব্য কিনলেও সেই টাকা ফেরত দেয়নি অভিযুক্ত। লেক টাউন থানায় অভিযোগ জমা পড়ে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে জানা যায়, বাঙ্গুর এলাকার বাসিন্দা এই দোকানের মালিক চন্দ্র প্রকাশ ধরণী ধরকা অনেককে এ ভাবে ঠকিয়েছেন। প্রায় ৩০ জন অভিযোগকরীর থেকে ৪ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন বলে অভিযোগ।
অবশেষে, রবিবার রাতে বাঙ্গুর এলাকায় হানা দিয়ে মূল অভিযুক্ত চন্দ্র প্রকাশ ধরণী ধরকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। এই ব্যক্তি প্রতারণার টাকা নিয়ে কী করেছেন এবং এই ব্যক্তির সঙ্গে অন্য কোনও ব্যক্তির যোগ রয়েছে কি না, সেটা তদন্ত করে দেখছে লেক টাউন থানার পুলিশ।