Kolkata: ফ্রেঞ্চ তরুণীর উড়ন্ত চুম্বন কলকাতায় জেলবন্দি ‘নেশাড়ু’ প্রেমিকের উদ্দেশে

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 28, 2022 | 7:23 PM

Kolkata: নেশাখোর কৌস্তভের টানে ফ্রান্স থেকে কলকাতায় বিদেশিনী, জেলে দেখা করতে এসে চুম্বনও ছুড়ে দিলেন।

Kolkata: ফ্রেঞ্চ তরুণীর উড়ন্ত চুম্বন কলকাতায় জেলবন্দি ‘নেশাড়ু’ প্রেমিকের উদ্দেশে

Follow Us

সিজার মণ্ডল

কলকাতা: স্বর্ণকেশী তরুণী। কালো প্রিজন ভ্যানের লোহার জাল আটকানো একটা জানলার সামনে দাঁড়িয়ে উড়ন্ত চুম্বন (flying kiss) ছুঁড়ে দিচ্ছেন। যার দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছেন তাঁকে দেখা যাচ্ছে না লোহার জালের পিছনে অন্ধকারে। কলকাতার (Kolkata) ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বরে বিচার ভবনের সামনে এই শ্বেতাঙ্গ স্বর্ণকেশী বড়ই বেমানান। প্রথমে মুখ খুলতে রাজি না হলেও, খানিক পরে জানা গেলো তরুণীর নাম সাইলা। ফরাসি মুলুকের মার্সেই শহরের বাসিন্দা। 

চার বছর আগে রাজস্থানের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কাজ করতে এসেছিলেন বছর তেইশের সাইলা স্টাসি। বছর খানেক আগে গোয়াতে আলাপ কলকাতার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কৌস্তভ বিশ্বাসের সঙ্গে। সেই আলাপ আরও ঘনিষ্ঠতায় গড়ায়। এর মধ্যেই গত ২৫ অগস্ট কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হন কৌস্তভ। পুলিশের দাবি, অনলাইনে এলএসডি এবং এমডিএমএ-র মত মাদক অনিয়েছিলেন কৌস্তভ। তাঁর মা পাপড়ি বিশ্বাসের কথায়, ‘পার্সেলটা আসার পরেই হাতে নাতে ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।’ 

কৌস্তভের গ্রেফতারির খবর পৌঁছয় সাইলার কাছেও। তারপরই  হঠাৎ কলকাতায় পৌঁছন তিনি। সটান চলে যান কৌস্তভের পিকনিক গার্ডেনের বাড়িতে। সেখানে আছেন কৌস্তভের মা পাপড়ি দেবী এবং কৌস্তভের শয্যাশায়ী বাবা বিমান বিশ্বাস। তারপর থেকে এই বিদেশিনীর ঠিকানা কৌস্তভের বাড়ি। শুক্রবার আদালতেও এসেছেন পাপড়ির দেবীর সঙ্গে এসেছেন কৌস্তভের সঙ্গে দেখা করতে। 

আর পাঁচ জনের মতো নিজের ছেলেকে আদৌও নির্দোষ বলতে রাজি নন পাপড়ি দেবী। স্বামী ছিলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন। তিনি শয্যাশায়ী হওয়ার পর গোটা সংসারের দায়িত্ব পাপড়ির ওপরেই। পাপড়ি দেবী বলেন, “বার বার চেষ্টা করেও ছেলের নেশা কাটাতে পারেননি তাঁরা। কোনও চাকরি বেশিদিন করত না। রিহ্যাব সেন্টারে পাঠিয়েও লাভ হয়নি। এবার জেলে থেকে শাস্তি পাক।”  

আর সাইলা? প্রশ্নের উত্তরে পাঁপড়ির চোখে ব্যথার ঝলক। বলেন, “কি করব বলুন তো। মেয়েটা তো চলে এল। ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে। বাচ্চা মেয়ে। কোথায় আর যাবে! থাকুক আমার কাছে।” কর্তাদের ধরে ভিসার মেয়াদ বেড়েছে সাইলার। নিয়ম অনুযায়ী কিছুদিনের জন্য হলেও দেশে ফিরতে হবে। দেশে ফেরার কথা বলতেই মাথা নিচু ফরাসিনির। তিনি বলেন, “বাড়ি থেকে মা প্লেনের টিকিট পাঠিয়েছে। দেশে যাব কয়েক সপ্তাহ পরে।” সেই সঙ্গে আনত চোখেই বললেন, “ফিরে আসব আবার। কৌস্তুভ কে ভুলব না। ওর কাছেই আসব।”  

Next Article