কলকাতা: এসএসসির (School Service Commission) তরফে ইতিপূর্বেই ‘অযোগ্য’ সুপারিশপ্রাপ্ত ১৮৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন পাল্টা চিঠিও দিয়েছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, কেন তাঁদের নাম ‘অযোগ্য’ সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকায়। তাঁদের মধ্যে ৯ জন আবার হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের মূল বক্তব্য হল, তাঁরা উপযুক্ত নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু তারপরও তাঁদের নাম কেন ‘অযোগ্য’ সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকায়?
উল্লেখ্য, যে ন’জন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পূর্বিতা রায় ও কে এইচ সফিকূল হকও। একসময় তাঁরাও আন্দোলনে সামিল ছিলেন। ২০১৯ সালে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। কীভাবে তাঁরা সুপারিশ পেলেন তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না বর্তমান আন্দোলনকারীরাও। আর এই সামগ্রিক অবস্থার মধ্যে ‘অযোগ্য’ সুপারিশপ্রাপ্তদের চিহ্নিত করেও বেশ অস্বস্তিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কমিশনের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে দুই নম্বরে নাম রয়েছে কে এইচ সফিকূল হকের। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, “আমরা জাস্ট চ্যালেঞ্জ করেছি। যা বলার কোর্টে বলব।”
এদিকে কীভাবে র্যাঙ্ক জাম্প করে নিয়োগ? তা খুঁজতে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে আগামী ১৯ তারিখ বেলা সাড়ে ১০টায় ওই নয় জনের সঙ্গে কথা বললেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। এরপর আদালতকে র্যাঙ্ক জাম্প সংক্রান্ত বিষয়ে জানাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই এসএসসির তরফে ১৮৩ জনের ‘অযোগ্য’ সুপারিশপত্র পাওয়ার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। যদিও সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হচ্ছিল, এই সংখ্যা আরও বেশি। ওএমআর শিটের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের বেনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছিল। একটি ওএমআর শিটে দেখা গিয়েছিল, এক চাকরিপ্রার্থী সাতটি প্রশ্নের উত্তর করেছেন। তিনি পেয়েছিলেন পাঁচ নম্বর। অথচ তাঁর নামের পাশে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৫৩। এমন আরও অনেক বেনিয়ম রয়েছে বলেই আদালতে দাবি করেছিল সিবিআই।