
কলকাতা: সোমবার থেকে ক্যাম্প খুলছে কলকাতা পৌরনিগম (Kolkata Municipal Corporation)। কীসের জন্য খোলা হচ্ছে সেই ক্যাম্প? আসলে এসআইআর-এর আবহে জন্মের শংসাপত্র থেকে মৃত্যুর শংসাপত্রের চাহিদা বাড়ছে। আর সেই কারণে ক্যাম্প খুলছে পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম ইতিমধ্যেই এই ক্যাম্পের বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এই ক্যাম্প নিয়ে বিস্ফোরক দাবি বিজেপির। কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দাবি, এখান থেকে বাংলাদেশি মুসলমানদের নকল বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এখানে তৃণমূল বাংলাদেশি নাগরিকদের বিশেষ করে বাংলাদেশি মুসলমানদের বার্থ সার্টিফিকেট দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এর ফলে যেটা হবে এটা কোর্টের সামনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। আমরা এটা কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। আর যে সমস্ত অফিসার এটায় যুক্ত থাকবেন, বিশেষ করে কর্পোরেশনের মাথা ফিরহাদ হাকিম তাঁদের যেন অবশ্যই গ্রেফতার করে উপযুক্ত জায়গায় পাঠায়।” তবে অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “এটা অসত্য কথা। মিথ্যা কথা। ওদের প্রমাণ করতে হবে বার্ত সার্টিফিকেট রোহিঙ্গাদের দেওয়া হচ্ছে।”
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, সোমবার থেকে খোলা হবে এই ক্যাম্প। কারণ, জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র নিতে এসে অনেকের অনেক প্রশ্ন থাকে। এই শংসাপত্র কীভাবে পাবেন, কোথা থেকে হাতে পাবেন, এছাড়াও আরও অনেক প্রশ্ন থাকে। ফলে যাঁরা কর্মরত রয়েছেন তাঁদের পক্ষে সব উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে এই ক্যাম্প খোলা হচ্ছে। কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, এসআইআর আবহে জন্ম ও মৃত্যু সংশাপত্রের চাহিদা ক্রমেই বেড়েছে। অনেকেই রয়েছেন যাঁরা এতদিন শংসাপত্র নেননি। হাসপাতালের কাগজ নিয়ে এতদিন কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। এমনকী, যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিজনরাও এতদিন তাঁদের মৃত্যুর শংসাপত্র তোলেননি। এসআইআর প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পর যখন হিয়ারিংয়ের নোটিস আসা শুরু হবে, তখন এই জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র অন্যতম নথি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যে কারণে চাহিদা আরও অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “SIR চলছে। হেয়ারিং যখন চলবে তখন তো বার্থ সার্টিফিকেট লাগবে। তাই আমাদের এখানে যাতে পর্যাপ্ত অফিসার থাকে সেইটাই দেওয়ার ব্যবস্থা করব। যখন যেখানে হেয়ারিং হবে তখন তো এই সার্টিফিকেট লাগবে। সেটা দেওয়ার জন্য যাতে পর্যাপ্ত অফিসার থাকে সেইটারই ব্যবস্থা করছি। সেই কারণেই ক্যাম্প করছি।”