TMC: তৃণমূলে বড় পদ পীরজাদা কাশেমকে, ভোটের আগে ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে নতুন রসায়ন শাসকদলের?

TMC: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কাশেম সিদ্দিকীকে দলের পদে বসিয়ে কি ফুরফুরা শরিফকে কোনও বার্তা দিল তৃণমূল? বিধানসভা নির্বাচনে কাশেমকে প্রার্থী করা হবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।

TMC: তৃণমূলে বড় পদ পীরজাদা কাশেমকে, ভোটের আগে ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে নতুন রসায়ন শাসকদলের?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে কাশেম সিদ্দিকী (ফাইল ফোটো)Image Credit source: Facebook

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jun 10, 2025 | 9:53 AM

কলকাতা: ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে তৃণমূলের রসায়নে কি নতুন তাস পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকী? গত কয়েকমাস ধরেই এই নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল। সেই জল্পনায় কার্যত সিলমোহর দিল রাজ্যের শাসকদল। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকীকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হল। এদিন ঘাসফুল শিবির প্রেস বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। একইসঙ্গে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা শঙ্কর মালাকারকে দলের রাজ্য সংগঠনের সহসভাপতি ঘোষণা করা হল।

ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী এখন ভাঙড়ের বিধায়ক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর দাদা আব্বাস সিদ্দিকী ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF) তৈরি করেন। বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ISF-র টিকিটে একুশের নির্বাচনে ভাঙড়ে লড়েছিলেন নওশাদ। এরপর বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সঙ্গে ফুরফুরা শরিফের দূরত্ব বাড়ে।

গত মার্চে ফুরফুরা শরিফে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইফতারে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে ছিলেন না ফুরফুরার দুই পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ও নওশাদ সিদ্দিকী। অনেক পীরজাদাকেই সেদিন দেখা যায়নি। তবে মমতার পাশে দেখা গিয়েছিল কাশেমকে। পরদিন কলকাতার পার্ক সার্কাসে ইফতারে মমতার পাশে ফের তাঁকে দেখা যায়। তারপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে তৃণমূলের রসায়নে কি এবার নেতৃত্ব দেবেন কাশেম সিদ্দিকী?

নওশাদ ও আব্বাসের তুতো ভাই কাশেমও একসময় ফুরফুরাতে তৃণমূল বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সেইসময় সিপিএমের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা কারও নজর এড়ায়নি। ২০২১ সালে আইএসএফ গঠন হওয়ার পর থেকেই আব্বাস ও নওশাদ সিদ্দিকীকে পুরোপুরি সমর্থন করতে শুরু করেন কাশেম। এমনকি, ২০২৩ সালে নওশাদ সিদ্দিকীকে পুলিশ গ্রেফতার করার পর নিয়মিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতেন কাশেম। সেই কাশেমকেই রমজান মাসে পরপর ২ দিন ইফতারে মমতার পাশে দেখা যায়।

তারপর থেকে জল্পনা শুরু হয়, এবার কি ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে তৃণমূলের রসায়নে নতুন তাস হয়ে উঠবেন কাশেম? সেই জল্পনাকে এদিন আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল তৃণমূলের সিদ্ধান্ত। মার্চে মমতার পাশে কাশেমকে দেখা যাওয়ার পর ফুরফুরার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী বলেছিলেন, নওশাদ যদি মমতার কথা না শোনেন, তাহলে ভাঙড়ে কোনও পীরজাদাকে নওশাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল। তাঁর সেই বক্তব্য কি বাস্তব হয়ে দেখা দেবে? এর জন্য বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এদিকে, কংগ্রেস ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে আসা শঙ্কর মালাকারকে শাসকদল তাদের রাজ্য সংগঠনের সহ সভাপতি করেছে। আবার তৃণমূলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন করা হল সব্যসাচী দত্তকে। আর শাসকদলের এই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারকে।