AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

গার্ডেনরিচ ধর্ষণকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার, ধৃত আসগর তরুণীর পূর্ব পরিচিত, তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য

Gangrape in Kolkata: গত মঙ্গলবার গার্ডেনরিচ থানা এলাকায় দিনেদুপুরে ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা তরুণীর বাবার একটি পোশাকের কারখানা রয়েছে।

গার্ডেনরিচ ধর্ষণকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার, ধৃত আসগর তরুণীর পূর্ব পরিচিত, তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতীকী চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2021 | 9:14 PM
Share

কলকাতা: গার্ডেনরিচ ধর্ষণকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)। আসগর শাহ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক জেরায় কৃতকর্মের কথা শিকারও করেছেন অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্ষণের পর ১৫ লক্ষ টাকা ডাকাতির কথাও জানিয়েছেন তিনি।

অভিযুক্ত আসগর পেশায় মিস্ত্রী। ২৪ বছর বয়স। বিহারের গয়ার বাসিন্দা। তাঁর কাছে সবসময়ই কাটার থাকে। সেই কাটার ব্যবহার করেই ঘটনার দিন আলমারি থেকে ১৫ লক্ষ টাকা বের করেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত যুবকের সঙ্গে নির্যাতিতার পুরনো পরিচিতি ছিল। সে সম্পর্ক প্রায় আড়াই বছরের। গত এক বছরে তা আরও ঘনিষ্ঠ হয়। তরুণীর পরিবারও তা জানতে পারে। কিন্তু তারা এই সম্পর্ক কোনও ভাবেই মানতে চায়নি।

গত মঙ্গলবার গার্ডেনরিচ থানা এলাকায় দিনেদুপুরে ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা তরুণীর বাবার একটি পোশাকের কারখানা রয়েছে। ঘটনার দিন সেখানেই কাজে গিয়েছিলেন তরুণীর বাবা, মা ও ভাই। ভাড়া বাড়িতে একাই ছিলেন ওই তরুণী। সেই সময়ই বেশ কয়েকজন বাড়িতে ঢুকে লুঠপাট চালায়। ওই তরুণীর অভিযোগ অনুযায়ী, ১৫ লক্ষ টাকা চুরি করে দুষ্কৃতীরা। সোনা ও রুপোর গয়নাও নিয়ে যায়। প্রথমে জিনিসপত্র লুঠপাট সারে। তারপরই পালানোর আগে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক একেবারে যেন মাস্টারমশাই, ধরে ধরে ‘ছাত্র’দের বোঝাচ্ছেন বাজেটের গুরুত্ব

এই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছিল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। সাত সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমে ছিলেন মহিলা আধিকারিকরাও। অভিযোগ দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই সিট বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার করেছে আসগরকে। তবে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে বলে সন্দেহ পুলিশের। একাধিক সিসিটিভির ফুটেজ, পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ খতিয়ে দেখে তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।