Gariahat Double Murder: কাকুলিয়া জোড়া খুনে সরাসরি জড়িত, ডায়মন্ডহারবার থেকে গ্রেফতার আরও ১! এখনও অধরা ভিকি

Gariahat Double Murder: জেরায় জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত সে। বৃহস্পতিবার রাতভর তাকে জেরা করে পুলিশ।

Gariahat Double Murder: কাকুলিয়া জোড়া খুনে সরাসরি জড়িত, ডায়মন্ডহারবার থেকে গ্রেফতার আরও ১! এখনও অধরা ভিকি
কাকুলিয়া জোড়া খুনে ধৃত আরও এক (বাম দিকে-ধৃত সঞ্জয় মণ্ডল)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2021 | 10:00 AM

কলকাতা: কাকুলিয়া জোড়া (Gariahat Double Murder) খুনে গ্রেফতার করা হল ভিকির আরও এক সঙ্গীকে। ধৃতের নাম সঞ্জয় মণ্ডল।  তবে ঘটনার সপ্তাহ দুয়েক পার হতে চললেও, এখনও অধরা মূল চক্রী ভিকি। ভিকির মা মিঠু হালদারকে সবার প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর ধরা পড়ে ভিকির দুই সঙ্গী। খুনের ঘটনায় তারাও জড়িত ছিল। বৃহস্পতিবার ভিকির আরও এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ডায়মন্ডহারবার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত সঞ্জয়। বৃহস্পতিবার রাতভর তাকে জেরা করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, যে সাইটে ভিকি কাজ করতো সেখান থেকে ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সঞ্জয় টোটো চালাত। ভিকির সাইটের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করত সে। সেখান থেকেই পরিচয়।

কাকুলিয়া খুনে ধৃত ভিকির দুই সঙ্গীকে জেরা করে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। জানা গিয়েছে, বাড়ি সারানোর নাম করেই ভিকির দুই সঙ্গী বাপি ও জাহির গাজিকে ডেকে এনেছিল মিঠু। আগে খুন করা হয়। তারপর চলে অবাধে লুঠ। খুনের দিন বাড়িতে ঢোকার পর ওপরের ঘরে চলে যায় ভিকি। চালককে আগে খুন করা হয়। ওপরের ঘরে খুন করা হয় চালককে। পরে নীচে নেমে আসে ভিকি। একতলায় ছিলেন সুবীর চাকি।

উপর থেকে খুন করে এসে নীচে সুবীরকে খুন করে ভিকি। একজন মুখ চেপে ধরে। বাকি দু’জন হাত ও পা চেপে ধরে। খুনের পর ট্রেন ধরে এক সঙ্গে তিন জন পালায়। খুনের পর থেকে আর কেউ বাড়িতে ফেরেনি।

খুনে জড়িত ভিকির তিন সঙ্গী ছাড়াও খুনে জড়িত আরও এক যুবকের নাম উঠে আসছে। ফার্ন রোডের একটি সাইটে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত। ওই সাইটে অনান্য কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে যান তদন্তকারীরা। ঘটনার দিন বিকেলে ভিকির সঙ্গে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক দেখা করতে যায় কনস্ট্রাকশন সাইটে। বেশ কিছুক্ষণ দু’জনে কথাবার্তা বলে। ওখানে কর্মরত অনান্য নির্মাণকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

কে সেই অজ্ঞাত পরিচয় যুবক, এখন সেটাই খুঁজে পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। মিঠু হালদারের ঠিক করে দেওয়া তিন জনের বাইরে আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার কাঁকুলিয়া রোডে সুবীর চাকীর বাড়িতে গিয়েছিল ভিকি।

ফার্ন রোডের ওই কনস্ট্রাকশন সাইটে আসা অজ্ঞাত পরিচয় সন্দেহভাজন যুবকের খুনের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে কিনা, ভিকি তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল কিনা, সেই দিক খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

খুনের আগের দিন গোটা ছক কষা হয়। মাকে ভিকি জানিয়ে যায়, খুন করে টাকা আদায় করবে সে। মা মিঠুও তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। অপরাধমনস্ক ৩ জনকে জোগাড় করে ভিকি ও মিঠু। ফার্ন রোডের সাইটে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে ভিকি। ট্রেনেই যাতায়াত করে। মূলত ওই তিন জনের সঙ্গে ট্রেনে যাতায়াতের সূত্রেই আলাপ হয় ভিকির।

ঘটনার দিন বিকেল ৪ টে নাগাদ ট্রেন ধরে গড়িয়াহাট আসে ভিকি। মিঠু আসে তারও আগে। বাকি তিন জন পরে আসে। ভিকি তার কাজের জায়গা থেকে এক জনকে জোগাড় করে। মিঠু স্টেশনে অপেক্ষা করছিল। স্টেশনের আশেপাশের দোকান থেকেই ছুরি কিনে আনে ভিকি। তারপর সেই বাড়িতে যায়। খুনের পর মাকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানায় ভিকি।

মিঠু তদন্তকারীদের জানিয়েছে, ভিকি যখন ফোন করেছিল তখন বৃষ্টি পড়ছিল। বৃষ্টি বাড়তেই রাস্তা খালি হয়ে যায়। তখনই ভিকিদের বাড়ি থেকে বের হতে বলে মিঠু। গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভিকি এখনও অধরা। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে বারবার পালাচ্ছে ভিকি।

দাগী অপরাধীর মতোই ঘন ঘন ডেরা বদল করছে ভিকি। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে কোনও আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের বাড়িতে থাকছে না। পুলিশ জানাচ্ছে, এক্কেবারে সুকৌশলে পদক্ষেপ ফেলছে ভিকি। কোনও স্বাক্ষ্য বহন করছে না সে। প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই ১৭ অক্টোবর গড়িয়াহাট থানা এলাকার ৭৮ এ কাঁকুলিয়া রোডের একটি তিনতলা বাড়ি থেকে সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলের রক্তাক্ত, ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee In Goa: নতুন ভোরের আশ্বাস নিয়ে তাঁর সফর-গোয়া, দিনভর ঠাসা কর্মসূচি মমতার