Ghatal Master Plan: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সুখবর শোনাল নবান্ন, একটু একটু করে দেখা যাচ্ছে আশার আলো

Nabanna: রাজ্যে বর্ষা এলেই অবধারিত শিরোনামে উঠে আসে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান (Ghatal Master Plan)।

Ghatal Master Plan: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সুখবর শোনাল নবান্ন, একটু একটু করে দেখা যাচ্ছে আশার আলো
ঘাটালে গত বছর মুখ্যমন্ত্রী।

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 25, 2022 | 4:46 PM

কলকাতা: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণে কেন্দ্রের তরফে মিলল আর্থিক অনুমোদন। নবান্ন সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের পথে এক ধাপ এগোনো গিয়েছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এই টাকার জন্য ‘ইনভেস্টমেন্ট ক্লিয়ারেন্স’ বা আর্থিক অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে দেওয়া প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই রাজি হয়েছে রাজ্য। ‘ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বর্ডার এরিয়া প্রোগ্রাম’-এর অধীনে ৬০-৪০ অনুপাতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। ইনভেস্টমেন্ট ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর এই কর্মসূচির অধীনে এনে দ্রুত প্রকল্প শুরু করতে তৎপর নবান্ন। রাজ্যের তরফে আবারও কেন্দ্রকে অনুরোধ করতে চলেছে তারা।

রাজ্যে বর্ষা এলেই অবধারিত শিরোনামে উঠে আসে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান (Ghatal Master Plan)। প্রতিবছর বন্যায় প্লাবিত হয় ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। গৃহবন্দি হন লক্ষাধিক মানুষ। বন্যার জলে ডুবে যায় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। আর তখন নৌকা বা ডিঙি যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয় বানভাসি মানুষের। বর্ষা শেষ, সেই আলোচনাও কোথায় যেন হারিয়ে যায়। প্রায় ৪০ বছর ধরে এভাবেই বর্ষায় ঘুরে ফিরে আসে ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’।

গত বছর বর্ষা ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় বাংলার একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। মেদিনীপুরের ঘাটালের পরিস্থিতি সে সময় মারাত্মক হয়। গত বছর ঘাটালে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এই অবস্থার জন্য কেন্দ্র দায়ী। পরিকল্পিত বন্যা’র অভিযোগের পাশাপাশি ঘাটাল মাস্টার প্ল্য়ান রূপায়ণে জেলার জনপ্রতিনিধিদের দিল্লি গিয়ে দরবার করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, ঘাটালের সাংসদ দেবের বক্তব্য ছিল, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ করছি। আমি নিজে বহু বার সংসদে এ প্রসঙ্গ তুলেছি। দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি।”

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান মূলত ঘাটালকে ঘিরে থাকা মূল নদী এবং শাখা নদীগুলির নিয়মিত ড্রেজিং করা। যাতে সেগুলির জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে এবং বন্যার হাত থেকে ঘাটাল রক্ষা পায়। বলা হয়, পাম্প হাউস তৈরির অনুমোদন চন্দ্রকোণা-ঘাটাল-দাসপুর-সহ পাশ্ববর্তী এলাকায়। নদীপথ সংস্কার করা হবে কংসাবতী ও শিলাবতীতে। স্থানীয় খালগুলিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, খাল সংস্কার। সেই সঙ্গে ঘাটালের নদী ও খাল গুলিতে লক গেট বাসানো প্রকল্পের লক্ষ্য।