
কলকাতা: দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শন, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকে ঘিরে বিজেপি অন্দরে কার্যত আগুন! দিলীপের বিরুদ্ধে বিষোদগার দলেরই একের পর এক বিজেপি নেতার।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সাক্ষাৎ দল অনুমোদন করে না। মুর্শিদাবাদে যেভাবে হিন্দুদের অত্যাচার হয়েছে, তারপর ওখানে যাওয়া মানে হিন্দুদের অবজ্ঞা করা। আমরা পার্টি থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা যাব না। আমাদের অনেকেরই আমন্ত্রণ ছিল। উনি ব্যক্তিগতভাবে যেতেই পারেন।”
মুখ খোলেন সৌমিত্র খাঁ, কৌস্তভ বাগচী, তরুণজ্যোতি তিওয়ারির মতো নেতারাও। বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ বলেন, “একজন ত্যাগী থেকে কীভাবে ভোগী হতে হয়, তার আদর্শ নিদর্শন আপনি দিলীপ বাবু। বাবুল সুপ্রিয় থেকে মুকুল রায়, তাঁদের তাড়িয়ে আজ নিজেই তাঁদের পথ অনুসরণ করছেন।”
বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, “নেতা হওয়া যায় না, মানুষ নেতা বানায়—গতকালের দিলীপ ঘোষের কাজ আমার মত সাধারণ কর্মীরা ভালোভাবে নেয়নি এবং নেবেনা।”
বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী নিজের সামাজিক মাধ্যমে উল্লেখ করেন, “বক্তব্য শুনে বোঝার উপায় নেই বিজেপি নেতা নাকি তৃণমূলের মুখপাত্র! বোঝা যাচ্ছে, আতিথেয়তা ভালই হয়েছে।”
দিঘা থেকেই পাল্টা জবাব দিলেন দিলীপ। নাম না করে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা বিজেপিতে আসা নেতাদের। প্রশ্ন তুলেছেন বর্তমান নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়েও। দিলীপ বললেন, “কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করেছেন। আমাকে পার্টি থেকে অফিসিয়ালি মানাও করেনি। স্বাগতও করেনি।”
দিলীপের বক্তব্য, “যাঁরা দিলীপ ঘোষকে হিন্দুত্ব শেখাচ্ছেন, তাঁরা ১০ বছর আগের ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন। তাঁরা হিন্দুত্বের জন্য কী করেছেন, বিজেপির জন্য কী করেছেন? কিছু লোকের সমস্যা হচ্ছে জানি।” যদিও শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে জবাব দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, “বিজেপিতে নতুন পুরনো বলে কিছু নেই। যাঁরা আসেন, তাঁরা প্রত্যেকেই বিজেপির পরিবারের অংশ। এখন, এই সঙ্কটের মুহূর্তেও যাঁরা বিজেপিতে আসছেন, তাঁদের জন্য এই ধরনের বার্তা অত্যন্ত খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।”