Nabanna: বড় সিদ্ধান্ত! করোনাকালে বাড়ি বাড়ি খাবার পাঠাবে রাজ্য, কারা পাবেন জেলা প্রশাসনকে জানাল নবান্ন

Covid Spike: চাল, ডাল, মুড়ি, বিস্কুটের প্যাকেট দেওয়া হবে রাজ্যের তরফে। খাবার যাতে বাড়ি অবধি পৌঁছে দেওয়া যায় তারই ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Nabanna: বড় সিদ্ধান্ত! করোনাকালে বাড়ি বাড়ি খাবার পাঠাবে রাজ্য, কারা পাবেন জেলা প্রশাসনকে জানাল নবান্ন
নবান্নে আদানির দূত। নিজস্ব চিত্র।

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 04, 2022 | 4:09 PM

কলকাতা: করোনায় দুঃস্থদের জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদানের ঘোষণা রাজ্য সরকারের। দুঃস্থদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছনোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মঙ্গলবারই সব জেলাশাসককে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। প্যাকেটে করে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে দুঃস্থদের কাছে।

চাল, ডাল, মুড়ি, বিস্কুটের প্যাকেট দেওয়া হবে রাজ্যের তরফে। খাবার যাতে বাড়ি অবধি পৌঁছে দেওয়া যায় তারই ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে বলেও নবান্নের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে করোনার প্রকোপ প্রবল হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ বাড়ছে জেলাগুলিতেও। করোনার কারণে বহু জায়গায় কাজে কাটছাঁট হচ্ছে। বিধিনিষেধের কড়াকড়িতে কাজ পেতে সমস্যা হচ্ছে দিন আনে দিন খায় এমন বহু মানুষের। যে হারে করোনা বাড়ছে তা আগামী এক মাসও যদি অব্যাহত থাকে, তা হলে এই মানুষগুলোর অন্নসংস্থান প্রশ্নের মুখে পড়বে।

করোনার প্রথম ঢেউ কিংবা দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই দুর্দশার ছবি প্রকটভাবে দেখাও গিয়েছিল কোথাও কোথাও। তবে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যখন ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে, এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই রাজ্য সরকার কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। একটি মানুষকেও যাতে খাবারের অভাব বোধ করতে না হয় সে কারণে এবার প্রথম থেকেই প্রস্তুত নবান্ন।

চাল, ডাল, বিস্কুট-সহ বিভিন্ন শুকনো খাবার দুঃস্থদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মর্মে রাজ্যের প্রতিটি জেলাশাসকের কাছে নির্দেশিকা গিয়েছে। এর জন্য পুলিশের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে জেলাপ্রশাসনকে।

শুধু তাই নয়। এমন বহু মানুষ আছেন, যাঁরা আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁদেরও বাইরে থেকে খাবার এনে খাওয়া দুরূহ। তাঁদের জন্যও একই ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে নবান্নের তরফে। দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। শুধু খাবার নয়, এই বিপদকালে কোনও মানুষ যদি কোনওরকম সমস্যায় পড়ে, জেলা প্রশাসন যাতে এগিয়ে যায়, সমস্ত রকম ব্যবস্থা করে সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। চাল, ডাল, শুকনো খাবারের পাশাপাশি দুঃস্থ কারও যদি অন্য কোনও প্রয়োজনীয় জিনিস, ওষুধপত্র দরকার হয় তার ব্যবস্থাও জেলাপ্রশাসনকে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিকিৎসকরা সতর্ক করেন সাধারণ মানুষকে। তাঁরা প্রত্যেকেই বলেন তৃতীয় ঢেউ এসেই গিয়েছে প্রায়। এর চরিত্র বুঝতে আর‌ও দু সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা আরও বলেন, অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে আইসোলেশনের মেয়াদ কমানোরও দরকার।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের, সবুজ নষ্ট করে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে স্পোর্টস সিটি? হলফনামা চাইল আদালত